স্ট্রাইক রেট ইস্যু, কি বলছেন কোহলি?

রানের দিকে এগিয়ে থাকলেও, স্ট্রাইক রেটে আগাতে পারছেন না বিরাট কোহলি। আধুনিক ক্রিকেটের মারমুখী ইনিংসের ভীড়ে হারিয়ে যায় কোহলির সব দীর্ঘ ইনিংস। বর্তমান ক্রিকেটের পরিস্থিতি বিবেচনায় কোহলির স্ট্রাইক রেট তাঁর সাথে মানায় না। তবে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংস খেলার মাধ্যমে সমালোচকদের কড়া জবাব দেন ভারতের এই ক্রিকেটার।

আহমেদাবাদে মুখোমুখী হয় রয়্যাল চ্যালাঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং গুজরাট টাইটান্স। গুজরাটের দেয়া ২০১ রানের লক্ষ্য বেশ সাবলীল ভাবে ৯ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় ব্যাঙ্গালুরু। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি ৪৪ বল খরচ করে ৭০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ৬ চার এবং ৩ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৯.০৯।

যা আপাত দৃষ্টিতে মোটেও খারাপ নয়। তবে তাঁর সতীর্থদের স্ট্রাইক রেট ছিল আকাশচুম্বী। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং উইল জ্যাকসের স্ট্রাইক রেট ছিল যথাক্রমে ২০০ আর ২৪৩.০৯। অর্থাৎ এখানেও স্ট্রাইক রেটে পিছিয়ে আছেন কোহলি।

এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে কোহলি যুক্ত হন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ ৫০০ রানের ইনিংস খেলার তালিকায়। সর্বোচ্চ সাত বারের মত আইপিএলের এক মৌসুমেই মোট ৫০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ম্যাচের পরে এই  রেকর্ডের ব্যাপারে তিনি কিছু ভাবেন কিনা তা জানতে চাইলে কোহলি বলেন, ‘না, মোটেও না। আমার স্ট্রাইক রেট এবং স্পিন বল ভালভাবে খেলতে না পারার ব্যাপারে যারা কথা বলে, তারাই এসব নিয়ে চিন্তিত। তবে আমার জন্যে, দলের জয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটা আমি নিয়মিত করে আসছি।’

বেশ কিছু দিন ধরেই ক্রিকেট সমালোচকদের আলোচনার শীর্ষে আছে কোহলির স্ট্রাইক রেট। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে বিশ্বাস করে, শুধুই লম্বা ইনিংসে নয়। তবে কোহলির রান বাড়লেও, বাড়ছে না স্ট্রাইক রেট। তাই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলিকে তাঁর স্ট্রাইক রেট ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হবে। নয়তো ব্যাঙ্গালুরুর মত জাতীয় দলেও তাঁর পারফরম্যান্স কোনো কাজে আসবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link