ভুলের আক্ষেপ করে বসে থাকাই সবচেয়ে বড় ভুল। পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির অন্তত সেই দর্শনেই বিশ্বাসী। পৃথিবীতে বাঁচতে হলে সবকিছু ভুলেই এগিয়ে যেতে হবে।
ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০২০ সালে। তিন বছর আট মাসের ব্যাবধানে আবারো পাকিস্তানের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ আমির। তাঁকে প্রয়োজন পাকিস্তান ক্রিকেটের। তাই তো ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে তাঁর অবসর ভাঙলেন। তাঁর লক্ষ্য এখন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন আমির। আর সেই ভুলের মাশুল হিসেবে মাঠের বাইরে ছিলেন পাঁচ-পাঁচটি বছর। শাস্তি থেকে ফিরেই ২০১৭ সালে পাকিস্তানের হয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতেন আমির। দলের জয়ে রাখেন বিশেষ ভূমিকা। আইনি মাশুল শেষ হলেও তাঁকে এখনো খোটা দেয়া বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি দলে তাঁর সংযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এবং ইমাদের (ইমাদ ওয়াসিম) দলে সংযুক্তি নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেননা , আমরা পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলিনি। তবে আমার প্রশ্ন হল পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ কোনটি? নি:সন্দেহে পাকিস্তান সুপার লিগ। আর আমরা সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করার কারণেই নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন। তাহলে সমস্যা কোথায়?’
তাছাড়া তিনি তাঁর ভুল এবং শাস্তি সম্পর্কে আরো বলেন, ‘আমি আমার ভুলের শাস্তি পেয়েছি। ২০১০ থেকে ২০১৫ ছিলাম দলের বাইরে। আবার ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিলাম অবসরে। আমি আমার জীবন থেকে ৯ টি বছর হারিয়েছি। ভুলের মাশুল দেয়া শেষ হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার সকল ইচ্ছাই আমি মেনে নিয়েছি এবং সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর প্রত্যাবর্তনের সিরিজে তিনি চার ম্যাচে নেন তিন উইকেট। যেখানে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২/১৩। আমিরের বোলিংই জানান দিচ্ছে যে তিনি সব ভুলে এগিয়ে যেতে চাইছেন। দেখার বিষয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আমির পাকিস্তানের জন্য কতটুকু প্রভাব রাখতে পারেন।