টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে সমালোচনা বেশ পুরনো। ওয়ানডে কিংবা টেস্টে ঠিকটাক ব্যাটিং করলেও, সময়ের চাহিদা মিলিয়ে ব্যাটিং করতে পারেন না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। ৩৫ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ব্যাটিং করেছেন মাত্র ১১০ স্ট্রাইক রেটে, বিশ্বের সকল অধিনায়কদের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এগিয়ে রয়েছেন কেবল উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবার থেকে।
সকল সমালোচনার মধ্যেই শান্তকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়। শান্তর সামনে সুযোগ ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম করে সমালোচনার জাবাব দেয়ার। স্ট্রাইক রেটের উন্নতি তো ঘটেইনি বরং প্রথম চার ম্যাচে ফর্ম হারিয়ে সমালোচনা আরও বাড়িয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ছিল শান্তর ফর্মে ফেরার মঞ্চ। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন চাপের মুখে বাংলাদেশ, অধিনায়কের দায়িত্ব তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে বড় ইনিংস খেলে দলকে চাপমুক্ত করা। সেই দায়িত্ব পালনে শান্ত অবশ্য প্রাথমিকভাবে সফল। রিয়াদ-শান্তর ৬৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয়া গেছে।
শান্তর শুরুটা হয়েছিলো রয়ে সয়েই। প্রথম রান করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম বল পর্যন্ত। মুজারাবানির বলে আউটসাইড এজ থেকে বাউন্ডারির মাধ্যমে রানের খাতা খোলেন তিনি। পাওয়ার প্লে শেষে তার ব্যক্তিগত রান ছিলো ১২ বলে ১০ রান। ম্যাচ পরিস্থিতি এবং অপরপ্রান্তে রিয়াদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যানে শান্তর ধীরগতির ইনিংসও মানার মতই।
কিন্তু শান্ত এই সুযোগেরও পূর্ণ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আউট হয়েছেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। ৫ টি চার এবং ১ ছক্কায় এই রান করেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই হাকিয়েছিলেন ছক্কা। অর্থাৎ যেই মুহুর্তে হাত খুলে খেলা শুরু করেছেন, সেই মুহূর্তেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন।
ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শান্তকে নিয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা থেকেই যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে রান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, সময়ের চাহিদা মিটিয়ে খেলছেন না ‘ইম্প্যাক্টফুল’ ইনিংসও। অধিনায়কত্বের কারণে দলে জায়গাও নিশ্চিত। আর এই নিশ্চিত জায়গাটাই হতে পারে বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের কারণ। দলের স্বার্থেই শান্তর ফর্মে ফেরা, টি-টোয়েন্টির মেজাজ বোঝাটা খুব জরুরী।