একটা সময় পাকিস্তানের পেস আক্রমণভাগ ছিল তাঁদের অহংকার, মাঝে সেই তেজ হারিয়ে গেলেও শাহীন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে কয়েক বছর আগে অতীত ফিরিয়ে এনেছিল দলটি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কি যেন হয়ে গেলো; ইনজুরি আর ফর্ম হীনতার কারণে পাকিস্তানের পেসাররা এখন নখদন্তহীন বাঘে পরিণত হয়েছেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের কথাই ভাবা যাক; স্কোয়াড ঘোষণা থেকে শুরু করে মাঠের নামার আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিলো আইরিশ ব্যাটারদের হৃদয়ে বুঝি কাঁপুনি সৃষ্টি করবে পাক পেসাররা। অথচ ব্যাট বলের খেলায় ঘটলো ঠিক বিপরীত বিষয়, অনায়াসে শাহীন, আমিরদের মোকাবিলা করেছে স্বাগতিক দল। পর পর দুই ম্যাচেই নিজেদের দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে অ্যান্ড্রু বালবার্নি, লরকান টকাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে চারজন ফাস্ট বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাবর আজমের দল। রান খরচেও সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন চারজনেই। সবচেয়ে বড় তারকা শাহীন নিজেই চার ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন ৪৯ রান, তিন উইকেট পেলেও তাই তাঁর বোলিং পারফরম্যান্সকে ভাল বলার কোন সুযোগ নেই।
প্রত্যাবর্তনের রঙিন গল্প লেখা মোহাম্মদ আমির নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন আবারো। এদিন চার ওভারে তিনি বিলিয়েছেন ৪৪ রান। মাঝে কার্টিস ক্যাম্পায়ারের উইকেট পেয়ে যদিও বোলিং ফিগারকে ভদ্রস্থ রূপ দিয়েছেন তিনি।
নাসিম শাহ আর আব্বাস আফ্রিদি দুজনে তুলনামূলক ভাল করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এক কথায় বলতে গেলে, আয়ারল্যান্ডের মত খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে পাক পেসাররা। তাঁদের এই ফর্ম চলতে থাকলে বিপর্যয় অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের জন্য।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপগামী বিমানে উঠবে বাবর, ফখররা। ব্যাটিং লাইনআপ যেমনই হোক, বোলিং লাইনআপের কারণে হয়তো সেই স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে তাঁদের – তাই তো শীঘ্রই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে হবে। তা নাহলে বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার স্বপ্ন দেখা অযৌক্তিক।