পাকিস্তানের ক্রিকেটে পালা বদল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে এবারে বদলে যাওয়া চেয়ারম্যানের চাওয়া বদলাতে হবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে। হতে হবে আধুনিক, হতে হবে আরও বেশি আগ্রাসী। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি তেমন এক বার্তাই ছড়িয়ে দিয়েছেন গোটা দলের মাঝে।
আর সেটার ফলাফল হাতেনাতেই পেয়েছে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে যায় পাকিস্তান। শক্তিমত্তার বিচারে আয়ারল্যান্ড ঢের খানিকটা পিছিয়ে। তবুও মানসিকতা আর আধুনিক ক্রিকেটের সাথে সামঞ্জস্যতা থাকায় ম্যাচটি জিতে নিতে সক্ষম হয় আইরিশরা।
তাদের এই দারুণ জয়ের পর যেন টনক নড়ে মহসিন নাকভি। ডাবলিনে দলের সাথেই অবস্থান করছেন পিসিবি প্রধান। সেখানে তিনি প্রায় দুই ঘন্টা ধরে আলাপ করেন দলের সাথে। সেই আলোচনায় তিনি উপদেশ দেন আধুনিকতাকে আয়ত্ত্ব করবার।
তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আধুনিক ও নতুন স্টাইলে খেলেই জয় পাওয়া সম্ভব। মাঠে তীব্র প্রতিযোগিতা প্রদর্শন করা উচিত এবং খেলোয়াড়দের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করা উচিত।’ খেলোয়াড়দের মানসিকতায়ও খানিকটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে নাকভির চোখে। এছাড়া ফিল্ডিং দূর্বলতা পাকিস্তানকে পিছিয়ে দিচ্ছে বলেও মনে করেন।
তাইতো দলের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ে নিজেদের নিঙড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। খেলোয়াড়রা যেন এক চুল পরিমাণও ছাড় না দেন, সেই উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ঘরে বসে কৌশল সাজানো যায় কিন্তু আসল পরীক্ষা মাঠে, সেখানে পারফরম্যান্স করে দেখাতে হবে।’
নাকভির সেইসব টোটকাতে কাজ হয়েছে বটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৪ রানের বিশাল টার্গেট পেয়েও মুষরে পড়েনি পাকিস্তান। শুরুর দিকে দ্রুত দুই উইকেট পতনেও টলেনি পাকিস্তানি ব্যাটারদের মনোবল। তারা শেষ অবধি নিজেদের উপর রেখেছিল ভরসা। বিশেষ করে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান।
এই দুই ব্যাটারের ব্যাটের আঘাতে জয়ের ভীত তৈরি হয় পাকিস্তানের। এরপর জয়কে ত্বরান্বিত করেছেন আজম খান। ৩০০ স্ট্রাইকরেটের ১০ বলে ক্যামিওতে তিনি নিজেও যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। সেই সাথে সিরিজে ১-১ সমতায় ফেরে পাকিস্তান।