একটা কি দুইটা জায়গা নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা পিছিয়ে গিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বনাম তানজিম হাসান সাকিব।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি এই ইস্যু নিয়ে বেশ ভুগছিলেন। শেষ অবধি এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁদের যেতে হয় স্বয়ং বোর্ড প্রধান ও মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের দুয়ারে।
যদিও, এক্ষেত্রে ‘লাস্ট কল’ নিয়েছেন খোদ প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তিনি এগিয়ে রেখেছেন তানজিম হাসান সাকিবকে। কোচের কাছে মনে হয়েছে, দলের প্রতি নিবেদন ও আগ্রাসনে এগিয়ে তানজিম।
প্রধান নির্বাচক লিপু এখানে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা আস্থার জায়গা থেকে সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে রেখেছিলাম। তবে তাকে পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে দলের আস্থা, প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল তানজিম সাকিব। সে কারণেই সাইফউদ্দিন বাদ পড়েছে। তবে, সে আমাদের নজরেই থাকবে।’
এমনকি সাইফউদ্দিনের গেম অ্যাওয়ারনেস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘সাইফউদ্দিন প্রয়োজনের সময় ইয়র্কার লেন্থ ডেলিভারি করতে পারেনি। তাই মার খেয়েছে।’
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ পারফরম করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর গেল জিম্বাবুয়ে সিরিজেই ফিরেছিলেন স্কোয়াডে। তিন উইকেট নিয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু, শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলেন। জিম্বাবুুয়ের বিপক্ষে দলের বিপক্ষে দুই হাত ভরে রান বিলিয়েছেন।
তারই খেসারত দিলেন তিনি। বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারালেন। কোচ এগিয়ে রাখলেন তানজিমকে, সাইফউদ্দিনের মত তানজিমও লোয়ার অর্ডারে রান তুলতে জানেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচে ৯.৩১ ইকোনমিতে ৮ উইকেট।
শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ওভার বোলিং করে হজম করেছেন ৫৫ রান। তাঁর বিপক্ষে ব্যাট করতে ব্রায়ান বেনেট কিংবা সিকান্দার রাজাদের কোনো বেগ পেতে হয়নি। তাঁর করা শেষ ওভারে একাই ম্যাচ বের করে নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ১৮ তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ১৭ রান তোলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। সেখানে ম্যাচে বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়।
যদিও, সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খুব বেশি সুযোগ পাননি তানজিম। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৮.৫০ ইকোনমিতে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন। সাইফউদ্দিন এখানে তানজিমের চেয়ে একদমই পিছিয়ে নেই। তবে, দলের জন্য তানজিম হাসান সাকিবের ডেডিকেশনই বেশি চোখে পড়েছে কোচ ও নির্বাচকদের। ফলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন অধরাই থাকছে সাইফউদ্দিনের।