হারিস রউফকে মারা ভিরাট কোহলির ছক্কার কথা মনে আছে? ওমন উচ্চতার একটি বলে স্ট্রেইট ছক্কা হাঁকানো কি আর চাট্টিখানি কথা! পুরো বিশ্ব সেদিন মেতে উঠেছিল বিরাট বন্দনায়। হয়ত আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। সম্ভবত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হতে চলেছে বিরাটের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
তবে অনেকের মত হয়ত ভিন্ন। বিরাটের যেই ফিটনেস, তাতে করে অনায়াসে আরও কয়েক বছর ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু সমস্যাটা যে ভিন্ন জায়গায়। প্রতিটা মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে ক্রিকেট। আর ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনের মত প্রতিযোগিতা সম্ভবত আর কোথাও নেই। নতুনত্বের স্রোতে বিরাট টিকবেন কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তাইতো বিরাট ভক্তরা এদফা মন ভরে উপভোগ করে নিতে চাইবেন বিরাটের ব্যাটিং। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে তিনি সমর্থকদের চাহিদা মিটিয়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চেও সেই একই ধারা অব্যাহত রাখবেন তিনি, সেটাই যেন প্রত্যাশিত। তার আগে উঁকি দিয়ে আসা যাক বিরাটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে।
২০১২ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২৫ ইনিংসের মাঝে ১১ ইনিংসে বিরাট ছিলেন অপরাজিত। তাইতো গড় তার ৮১.৫০। সেই সাথে স্ট্রাইকরেটও বেজায় ভাল ১৩১.৩০। ২৭ ম্যাচে বিরাট রান করেছেন ১১৪১। নামের পাশে সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে ১৪টি হাফসেঞ্চুরি।
এমনকি ২০১২-২২ বিশ্বকাপ অবধি ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান তিনিই করেছেন। শুধু তাই নয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তার ব্যাট থেকেই সর্বাধিক রান এসেছে ভারতের পক্ষে। তবুও এক আক্ষেপ রয়ে গেছে বিরাট কোহলির। তিনি কখনোই জিততে পারেননি বিশ্বকাপ।
ঠিক সে কারণেই বোধহয় তিনি এবার একটু বাড়তি কিছু করবার প্রচেষ্টা চালাবেন। কেননা তাকে এবারের বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত কি-না এই মর্মে হয়েছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচকরা তার উপর আস্থা রেখেছেন। অবশ্য তিনি নিজেই বাধ্য করেছেন। আইপিএল জুড়ে যে তার ব্যাট হেসেছে। তাকে বাদ দেওয়া যে হয়ে পড়েছিল দুষ্কর।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪টি অর্ধশতক করেছিলেন। দলকে সেমিফাইনাল অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সেই আসরের চ্যাম্পিয়নের কাছেই হারতে হয়েছিল ভারতকে। কিন্তু এবার অন্তত তেমনটি হতে দিতে চাইবেন না বিরাট। ব্যাটকে তরবারী বানিয়ে দলকে দেখাতে চাইবেন জয়ের পথ। পারবেন তো বিরাট?