২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না, ভারত ও পাকিস্তানের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কোন রূপ প্ল্যান বি তৈরিতে রাজি নয়, নিজেদের ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেই প্রস্তুত তাঁরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সেক্ষেত্রে অংশ নিবে কি না সেটি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যায়।
যদিও পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা আশাবাদী সব বিবাদ ভুলে আগামী বছর লাহোর ভ্রমণে আসবে রোহিত শর্মার দল। সেজন্যই মূলত হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে না তাঁরা।
লম্বা একটা সময় পর ক্রিকেটে ফিরেছিল পাকিস্তানে, এখন তাঁদের সামনে সুযোগ বড় কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের পুরোপুরি নিরাপদ প্রমাণ করার। গত এশিয়া কাপে সেটা সম্ভব হয়নি, ভারত যেতে না চাওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক হিসেবে ব্যবহার করতে হয়েছিল। তবে এবার সে রকম কিছুই চায় না পিসিবি, বরং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এককভাবে আয়োজন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঁরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বা অন্য কোন দেশের সঙ্গে তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা হয়নি পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভীর। বরং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গত এশিয়া কাপ সম্পর্কিত অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পন্ন করতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
অন্যদিকে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলো ঘষেমেজে তৈরি করা হচ্ছে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের লক্ষ্যে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানির সাহায্যে ডিজাইনের কাজ করা হচ্ছে, আশা করা যায়, কাজ শেষ হলে নতুন রূপ ধারণ করবে স্টেডিয়ামগুলো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বেজে উঠেছে ইতোমধ্যে, সব দল শেষবারের মত প্রস্তুত করে নিচ্ছে নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য। এরই মাঝে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে কৌতূহলের কোন কমতি নেই।