পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ঠাই হয়েছিলো মোহাম্মদ হাফিজের। সিনিয়র এই ব্যাটসম্যান সেই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সবচেয়ে নিম্ন (‘সি’) ক্যাটাগরিতে হাফিজকে চুক্তিতে রাখায় তিনি যে বেশ নাখোশ হয়েছেন সেটি তার সিদ্ধান্তে স্পষ্টত।
২০১৯ সালে কোনো কেন্দ্রীয় চুক্তিতেই ছিলেন না প্রফেসর মোহাম্মদ হাফিজ। ২০২০ সালে তাকে ক্যাটাগরি ‘এ’ তে রেখে চুক্তি করা হয়, যেখানে বলা হয় সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সে বছর যেকোনো ম্যাচ খেললেই এই চুক্তি অনুযায়ী ম্যাচ ফি পাবেন।
গত এক বছরে ডেভিড মালানের পর তিনিই টি-টোয়েন্টিতে ২য় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। গত এক বছরে ডেভিড মালান করেছেন ৩৮৬ রান! এবং এক ম্যাচ কম খেলে হাফিজ করেছেন মোট ৩৩১ রান।
উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান যিনি নিজের সেরা ফর্মে রয়েছে তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ‘বি’ তে। ফাওয়াদ আলম ঘরোয়া লীগে সিন্ধের সাথে এ+ ক্যাটাগরিতে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও টেস্টের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে রাখা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে।
পার্ফরমেন্স এর উপর ভিত্তির করে পিসিবি তিন জন খেলোয়াড়কে এই বছরের শেষে চুক্তিতে উন্নীত করা হবে। পিসিবির করা বর্তমান এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে চলতি বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত। রিজওয়ান এবং ফাওয়াদ আলম দু’জনেই তাদের চুক্তি মেনে নিয়েছে কিন্তু মোহাম্মদ হাফিজ এই চুক্তি প্রত্যাখান করেছেন।
হাফিজ প্রসঙ্গে পিসিবি প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘মোহাম্মদ হাফিজ প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করায় আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। তবে আমি তার সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সম্মান জানাচ্ছি। সে ২০২১-২২ মৌসুমের পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে চায়। যা তার প্রাপ্য। মৌসুমে সে আমাদের সেরা পারফর্মার, আশা করি এটা সে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত টেনে নিতে পারবে। আমি নিশ্চিত যে প্রতিভা ও পারফরম্যান্স ভিত্তিক সিদ্ধান্ত বেশ বড় ও স্পষ্ট একটা বার্তা দিবে পেশাদার ক্রিকেটারদের যে পিসিবি কেবল কৃতিত্বগুলোর জন্য স্বীকৃতি ও প্রশংসা করেই থামবেনা বরং পুরষ্কৃতও করবে পরবর্তীতে আরও ভালো করার জন্য।’
ফাওয়াদ আলমের জাতীয় দলে প্রবর্তনের পর ২০২০ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে করেন ৩২০ রান। যার মধ্যে রয়েছে ঘরের মাঠে প্রোটিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শতক। ২০২০ পিসিবি একক পার্ফরমেন্স সেরা এওয়ার্ড ও পাম ফাওয়াদ আলম। সরফরাজ আহমেদকে টপকে বি ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। টেস্টে গত সাত ম্যাচে প্রায় ৫৩ গড়ে করেছেন ৫২৯ রান! সেই সাথে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি টেস্টে সহ-অধিনায়কের।
ওয়াহাব রিয়াজ এবং মোহাম্মদ আমির কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। শাহিন আফ্রিদি এবং আজহার আলী বি থেকে এ ক্যটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন বাবর আজমের সাথে।
ইমার্জিং প্লেয়ার্স ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন হায়দার আলি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ৷ অপরদিকে, মোহাম্মদ নাসিম শাহ প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা করে নিয়েছেন সি ক্যাটাগরিতে।
চুক্তির তালিকা
ক্যাটাগরি ‘এ’: আজহার আলী, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি।
ক্যাটগরি ‘বি’: আবিদ আলী, আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ আব্বাস, সরফরাজ আহমেদ, শাদাব খান, শান মাসুদ, ইয়াসির শাহ।
ক্যাটাগরি ‘সি’: ফখর জামান, ফাওয়াদ আলম, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক, নাসিম শাহ, উসমান শিনওয়ারি।
ইমার্জিং প্লেয়ার্স ক্যাটাগরি: হায়দার আলী, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন।