বুড়ো মাহমুদউল্লাহই তাহলে শেষ ভরসা

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। পরের আসরেই বাদ দেয়া হলো তাঁকে, শুধু বাদ নয় লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন থেকেই তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মত ধ্বংসস্তুপ থেকে ঠিকই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন, ফিরেছেন রাজার মত করেই – বলছি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যিনি টাইগার স্কোয়াডের একমাত্র ইনফর্ম ক্রিকেটার।

প্রস্তুতি ম্যাচেও সেটার ছাপ দেখা গিয়েছে, দলের বাকিরা যখন ব্যর্থতার পসরা সাজিয়ে বসেছেন এই ব্যাটার তখন একাই লড়াই করেছেন। আহামরি কিছু করতে পারেননি অবশ্য, দলকে জেতানো তো দূরে থাক পরাজয়ের ব্যবধানও খুব একটা কমাতে পারেননি তিনি। তবু তাঁর পারফরম্যান্সই আশার প্রদীপ জালিয়ে রেখেছে।

এদিন ২৮ বল খেলে ৪০ রান করেছেন এই ডানহাতি, চারটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো ইনিংসটি সংখ্যাতত্ত্বে মোটেই বিশেষ নয়। তবে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়ার আগে তিনিই বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।

৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন রিয়াদ, এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি। অন্য প্রান্তে সাকিব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং না করতে পারলেও তিনি কিছুটা হলেও জবাব দিতে পেরেছেন ভারতীয় বোলারদের। বিশ্বকাপেও হয়তো তাঁকে এভাবেই নিঃসঙ্গ শেরপার মত লড়াই করতে হবে।

২০২৩ সালের শুরুর দিকে দল থেকে বাদ পড়ার পর এই তারকা একেবারে হারিয়ে গিয়েছিলেন লাইমলাইট থেকে। কোন বিতর্কে জড়াননি, কোন সাক্ষাৎকারে আবেগী যুক্তি দেখাননি – বরং ফিরে গিয়েছেন নিজের ডেরার, কাজ করেছেন নিজের দুর্বলতা নিয়ে। সেটারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে পরবর্তীতে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলে ফিরেই প্রত্যাবর্তনের রঙিন কাব্য রচনা করেছিলেন তিনি।

এখন পালা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার। বরাবরই বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মারদের একজন ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, এবার নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে নিশ্চয়ই কার্পণ্য করবেন না তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link