নিয়মের গ্যাঁড়াকলে আটকে গেল পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসামা মীরের আরো একটি ফ্রঞ্চাইজি লিগে খেলার স্বপ্ন। তার ওপর রয়েছে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার দু:খ। তবে কি পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের শক্তিশালী সংগঠনের অভাবেই উসামা মীরের এই দুর্দশা?
পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের একটি দৃঢ় সংগঠন থাকলে হয়তো উসামাকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া লাগত না। যেখানে উসামা তাঁর এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেতে পারতো। সেই সংগঠণ খেলোয়াড়দের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারতো।
শেষ পর্যন্ত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়া হয়নি উসাম মীরের। আসল সমস্যা বাঁধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাথে তাঁর চুক্তিতে। সেই চুক্তি অনুযায়ী তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ছাড়া সর্বোচ্চ দুইটি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে পারবেন। উসামা ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালে হান্ড্রেড এবং ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) খেলে ফেলেছেন। আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এবার খেলতে পারলে, তবে এটি এ বছরের তাঁর জন্য তৃতীয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলা হত। তাইতো তাঁকে স্রেফ না করে দিয়েছে পিসিবি।
পাকিস্তানের আরেক লেগ স্পিনার শাদাব খানের কারণেই দলে জায়গা হয়নি উসামার। যদিও তিনি এবারের পিএসএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন। উসামার এখন নেই কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব, নেই কোনো বাড়তি চাপ। তবে এ বছরের পিএসএল খেলার পর থেকে তিনি ছয়টি লিস্ট এ’র ম্যাচে খেলেছেন।
চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন, শিখতে পারেন। তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের হঠাৎ প্রয়োজন হিসেবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা যেত। পাকিস্তানের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হবে তিনি প্রতি মাসে পান ৪ হাজার মার্কিন ডলার। তবে ওরচেস্টারশায়ারের সাথে ছয় থেকে সাত সপ্তাহের জন্য তাঁর চুক্তি ছিল প্রায় ৬৩ হাজার ৬০০ ডলার। পাকিস্তানী রুপীতে যা প্রায় দুই কোটি রুপীর সমান।
সেই ‘৭০ এর দশক থেকে শুরু করে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সংগঠনের ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিই শুনে আসছে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা। আর বর্তমানেও একই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়, যেখানে নেই কোন ঐক্য। উসামা মীর সেই অবহেলার নিদর্শন মাত্র। তাই তো পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সুবিধার জন্যই তাঁদেরকে আরও এক জোট হতে হবে।