নিউ ইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে সমালোচনা এখন চরমে পৌঁছেছে; টি-টোয়েন্টি তো দূরে থাক এমন উইকেটে টেস্ট খেলতে বললেও আঁতকে উঠবেন ব্যাটাররা। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিশ্লেষক সবাই তাই এটাকে খেলার অনুপযুক্ত বলছেন, তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পরবর্তী ম্যাচগুলো বিকল্প ভেন্যুতে সরিয়ে নেয়ার কোন ভাবনা ভাবছে না।
বিশ্বকাপ উপলক্ষেই মূলত তৈরি করা হয়েছিল নাসাউ স্টেডিয়াম। অস্ট্রেলিয়া থেকে ড্রপ ইন পিচ আনা হয়েছে, আউটফিল্ড তৈরি করা হয়েছে তড়িঘড়ি করে। এমনকি পরীক্ষামূলকভাবেও কোন ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি এখানে। ফলে বিশ্বকাপ শুরু হতেই দেখা গিয়েছে ব্যাট-বলের মারাত্মক অসামঞ্জস্যতা।
এই স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ৭৭ রানে এবং ভারতের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড ৯৬ রানে অলআউট হয়েছে। যদিও পরিসংখ্যানের চেয়ে উইকেটের আচরণ বেশি শঙ্কা জাগানিয়া।
একই জায়গায় পিচ করা বল কখনো ব্যাটারের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, কখনো আবার হাঁটু পর্যন্তও উঠছে না। স্বাভাবিকভাবেই শট খেলতে সমস্যায় পড়ছেন বিশ্ব মানের ব্যাটাররাও। শুধু তাই নয়, নিজেদের শরীর বাঁচিয়ে খেলতে হচ্ছে তাঁদের। ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচেই রোহিত শর্মা হাতে চোট পেয়েছেন অসম বাউন্সের কারণে, ঋষাভ পান্তও একাধিকবার ব্যাথা পেয়েছেন।
আইসিসি চাইলেই নাসাউ স্টেডিয়ামের বাকি ম্যাচগুলো টেক্সাস বা ফ্লোরিডাতে স্থানান্তর করতে পারে। দুই জায়গাতেই প্রাকৃতিক পিচ থাকায় ব্যাট বলের দ্বন্দ্বে ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
একই মাঠে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজিত হবে; সেটা নিয়েই আপাতত চিন্তায় আছে দুই দল। টিম ইন্ডিয়া ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পিচ নিয়ে। যদিও পাক-ভারত ম্যাচ এখন পর্যন্ত অব্যবহৃত পিচেই হবে, সেক্ষেত্রে দেখার বিষয় উইকেট কেমন হয়।