কয়েক সপ্তাহ আগেও অধিনায়ক ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্টের খেয়ালি সিদ্ধান্তে সেটা আর হয়নি – যদিও এসব কিছু ভাবনায় না রেখেই সেরা পারফরম্যান্স করার কথাই বলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সেরকম কিছু দেখা যায়নি, বল হাতে কাটিয়েছেন উইকেট শূন্য দিন।
এদিন ব্যাট হাতে অবশ্য ১৬ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি; ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন ইনিংস নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে বোলিংয়ে ম্লান ছিলেন তিনি, চার ওভার বল করে ৩৩ রান খরচ করলেও অর্জনের খাতায় যোগ করতে পারেননি কোন উইকেট।
তাঁর এমন নির্বিষ বোলিংয়ের কারণই ম্যাচের শেষপর্যন্ত লড়াই করতে পেরেছিল স্বাগতিক শক্তি। দলের অধিকাংশ ব্যাটার যেখানে ব্যর্থ সেখানে লোয়ার অর্ডারকে প্রতিরোধ গড়তেই হতো।
অতি প্রয়োজনীয় কাজটাই করেছেন এই বাঁ-হাতি, আট নম্বরে নেমে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যামিও। দুই ছয় ও এক চারে সাজানো তাঁর ইনিংসে ভর করেই মূলত ১৫৯ রানের মাঝারি পুঁজি জড়ো করতে পেরেছিল পাকিস্তান, তা নাহলে আরো অনেক আগেই থামতে হতো তাঁদের।
যদিও নিজের আসল কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেননি শাহীন, নতুন বল হাতে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেটারই সুবাদে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার, আর জয়ের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় মেয়াদে বোলিংয়ে ফিরেও কিছু করতে পারেননি এই পেসার, তবে ইকোনমিক্যাল থাকায় কিছুটা চাপ তৈরি করতে পেরেছেন ব্যাটারদের ওপর। বিশেষ করে নিজের শেষ ওভারে সাত রান দিয়েছিলেন তিনি, তাতেই মূলত মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছে বাবর আজমের দল।
সত্যি বলতে, এই পাক তারকা সব মিলিয়ে মিশ্র পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। তবে তাঁর কাছে দলের প্রত্যাশা এর চেয়ে অনেক বেশি। আর সেজন্যই পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরো শাণিত হতে হবে তাঁকে; পেস আক্রমণের নেতা হিসেবে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করতে হবে।