আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তখনো কেবল একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন, তাই ২০২৪ বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন সেটা বোধহয় দূরতম কল্পনাতেও ভাবেননি অটনেইল বার্টম্যান। কিন্তু অবিশ্বাস্য ব্যাপারটিই ঘটেছে, বিশ্বকাপের সেরা পনেরোতে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এমন চমক জাগানিয়া সিদ্ধান্ত যে একটুও ভুল ছিল না সেটা অবশ্য প্রমাণ হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রথম বলে উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। সেই ম্যাচে আর উইকেট না পেলেও বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছিলেন তিনি, স্রেফ নয় রান এসেছিল তাঁর চার ওভার থেকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও একই রূপে দেখা গেলো তাঁকে।
এদিন শুধু রান আটকানোর দিকে নয় মনোযোগ দেননি এই ডানহাতি বরং উইকেট শিকারের নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠেছিলেন। মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে চারজনকে ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের কারণেই ১০৩ রানের বেশি করতে পারেনি ডাচরা।
নতুন বলে বার্টম্যানকে আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ ম্যাক্স ও’ডউডের উইকেট তুলে নিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন তিনি। পরের দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে না পারলেও আঁটসাঁট বোলিং চলমান ছিল তাঁর; সবমিলিয়ে প্রথম তিন ওভারে কেবল দশ রান দিয়েছিলেন!
তবে এই বোলারের বিধ্বংসী রূপ দেখা গিয়েছে ইনিংসের শেষ ওভারে। দুই সেট ব্যাটার এঞ্জেলব্রেখট এবং ভ্যান বিক তখন ঝড় তোলার মানসিকতায় ছিলেন। কিন্তু কিসের কি, তাঁদেরকেই উল্টো কাঁপিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া পেসার। সেই ওভারে তিনবার উদযাপনের উপলক্ষ খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে দিয়েছিলেন এক রান!
এসএ টি-টোয়েন্টি সবশেষ আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই তারকা; ডেল স্টেইনের চোখে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ‘মোহাম্মদ শামি’। এরপর বিশ্বকাপে এসেই বাজিমাত করলেন পর পর দুই ম্যাচে – ক্যারিয়ারে এর চেয়ে ভাল শুরু বোধহয় আর হতে পারে না।