হুট করেই বলটা নিচু হয়ে গেল। মঈন আলির দিকে তাকিয়ে একগাল হাসি দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কেননা স্ট্যাম্পে আঘাত করা বলটায় যে মঈনের কৃতিত্বের চাইতেও দোষ বেশি উইকেটের। তবে ব্রিজটাউনের উইকেট অবশ্য নিউ ইয়োর্কের উইকেটের মত ততটাও বন্ধুর ছিল না।
যদিও সময় গড়ানোর সাথে সাথে বলের অসম বাউন্সের মাত্রা বেড়েছে, কিন্তু তাতে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য খুব বেশি বিচলিত হয়নি। কেননা দুই ওপেনার যে দলকে এনে দিয়েছিলেন উড়ন্ত সূচনা। ফর্মের একেবারে তুঙ্গে রয়েছেন ট্রাভিস হেড। সম্প্রতি শেষ হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তার ব্যাট চলেছে তরাবারির মত। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জলজ্যান্ত মূর্তি ছিলেন হেড।
অন্যদিকে, মিশ্র অভিজ্ঞতা ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের। ইনজুরির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ব্যাটিংটা খুব একটা ঝালাই করে দেখতে পারেননি। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। একটুতো রাঙিয়ে তোলা চাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে কাজটাই করলেন।
মারকুটে হওয়ার দায়িত্বটা এদিন তিনি হেডের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন যেন। দারুণ সব শটে মার্ক উডদের অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেন। মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রান করে ফেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২টি চার মেরেছেন। ছক্কা মেরেছেন ঠিক তার দ্বিগুণ। হেডকে সাথে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে শুভসূচনা এনে দেওয়ার কাজটা দারুণভাবেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার।
হেডও পিছিয়ে থাকতে চাননি। ১৮ বলে ৩৪ রান করে বসেন তিনিও। ৩টি ছক্কার পাশাপাশি ২টি চার আসে হেডের ব্যাট থেকে। এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে পাঁচ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৭০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় অজিরা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩০ বলেই ৭০ রান যোগ হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে। ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার পরিকল্পনাই যেন ছিল ওয়ার্নার ও হেড জুটির।
তবে উইকেট তা হতে দেয়নি। প্রত্যাশার চাইতে কম বাউন্স হওয়া দুইটি বলে উড়ে গেছে এই দুই বাঁ-হাতি ব্যাটারের উইকেট। তাতে করে ৭৪ রানে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ঠিক তখন থেকেই অজিদের রান তোলার গতিতে পড়ে ভাটা। কিন্তু তাদের সেই দারুণ সূচনার পর অস্ট্রেলিয়া হিসেব কষে রান বাড়িয়ে নেওয়ার কাজটাই করে গেছে শেষ অবধি।