সৌরভ নেত্রভালকার, পাকিস্তানের সাথে ম্যাচের পর নামটি বেশ পরিচিত হয়েছে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে। তার বোলিংয়ের কাছেই যে ধরাশায়ী হয়েছে পাকিস্তান দল। তবে খুব কম মানুষই জানে যে, বাবর আজমের বিপক্ষে এর আগেও মাঠে নেমেছিলেন নেত্রভালকার।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই যুক্তরাষ্ট্রের বোলার এক সময় ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। যেখানে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবরের। ভারতের বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন নেত্রভালকার। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পান তিনি।
যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচে পাঁচ উইকেটসহ তিন ম্যাচে আট উইকেট শিকার করেন। যা তাকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে সাহায্য করে। ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, জয়দেব উনাদকাট, সন্দীপ শর্মা ও মোহিত শর্মার সাথে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সেবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ভারত। সে পরাজয়ের আগে ছয়টি ম্যাচে ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন নেত্রভালকার। বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১৪ রান করে ভারত। পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে আসেন বাবর আজম ও আহমেদ শেহজাদ। তাদের বিরুদ্ধে সন্দীপের সাথে আক্রমণ শুরু করেছিলেন নেত্রভালকার।
তবে বাবরকে বল করার সুযোগ পাননি তিনি। ইনিংসের প্রথম ওভারে সান্দীপের বলে দুই রান করেন বাবর। দ্বিতীয় ওভারে নেত্রভালকারের ছয়টি বলই খেলেন শেহজাদ। পরের ওভারে বাবর আবারও সন্দীপ শর্মাকে মোকাবিলা করেন। ওভারে একটি চার মারলেও সন্দীপের একটি বল সুইং করে বাবরের স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। যার ফলে বাবরকে বল করার সুযোগ পাননি নেত্রভালকার। ২ উইকেট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান।
তবে এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন, ১৪ বছর আগের সেই হারের প্রতিশোধই যেন নিলেন নেত্রভালকার। নিজের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে দিলেন তিনি। শেষ দেখায় বাবরকে বল না করতে পারলেও এই ম্যাচে সেই সুযোগ পান তিনি। নেত্রভালকারের করা ১১ বলে মাত্র তিন রান নিতে পেরেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।