দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে কখনোই টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার সুযোগ ছিল, হাতের মুঠোয় ছিল আকাঙ্খিত জয়। কিন্তু ১৮ বলে ২০ সমীকরণ মেলানো যায়নি শেষমেষ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিকরা আটকা পড়েছেন লং অনে; সেই সাথে আটকা পড়েছে বাংলাদেশের স্বপ্নও।
আঠারোতম ওভারে তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার পরেই মূলত বদলে গিয়েছিল ম্যাচের গতিপথ। তবে জাকের আলির উপর আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশের, যদিও তিনি পারেননি নায়কোচিত কিছু করে দেখাতে। উল্টো কাগিসো রাবাদার ওভারে টানা তিনটি ডট বল হজম করে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘সবাই নার্ভাস ছিল, কিন্তু জাকের যখন উইকেটে ছিল তখনো আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে জিততে পারেনি, কিন্তু আমাদের জেতা উচিত ছিল। তাঁরা আসলে ভাল বল করেছিল শেষ দিকে।’
বোলারদের মাঝে রিশাদ ও তানজিম দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বটে। তাঁদের প্রশংসা করে টাইগার ব্যাটার বলেন, ‘গত কয়েক ম্যাচেই তানজিম ভাল করেছে। নতুন বলে আমাদের উইকেট দরকার ছিল, সেখানে সে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। রিশাদও দারুণ ছন্দে আছে, দুই ম্যাচেই পারফরম করেছে। আশা করি সে অনেকদূর যেতে পারবে।’
গ্যালারির বিপুল সমর্থন এদিন ছিল চোখে পড়ার মত। সেটা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমরা যেখানেই খেলি সেখানে সবসময়ই অনেক সমর্থন পাই। আশা করি ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই ধারা বজায় থাকবে।’
অন্যদিকে হেনরিখ ক্ল্যাসেনের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে বহুল আলোচিত ‘উইকেট ইস্যু’। তিনি বলেন, ‘এটা স্বস্তির ব্যাপার যে, আমরা শেষপর্যন্ত জিততে পেরেছি। তবে ম্যাচটা দেখতে খুব একটা আনন্দদায়ক ছিল না, উইকেট শট খেলার জন্য একদমই উপযুক্ত নয়।’