দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। এরপর বাংলাদেশের সাথে টান টান উত্তেজনার ম্যাচটি দুই উইকেটে হারে শ্রীলঙ্কা।
ফ্লোরিডায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামারই সুযোগ পাননি শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রা। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় ম্যাচটি। ফলে তিন ম্যাচ শেষে এক পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপের তলানিতে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের দলটি।
তবে শ্রীলঙ্কার জন্য সুপার এইটে যাওয়ার আশা ক্ষীণ হলেও শেষ হয়ে যায়নি। এমনকি ডি গ্রুপ থেকে বাকি চারটি দলের যে কোনো দল যেতে পারে পরের রাউন্ডে। তবে রাস্তাটি হবে বেশ কঠিন ও ভাগ্য নির্ভর।
শ্রীলঙ্কাকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে সর্বপ্রথম প্রার্থনা করতে হবে যেন বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস এর ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেপালের সাথে ম্যাচটি জিততে হবে।
অন্যদিকে, নেপালকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। নেট রান রেটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের উপরে উঠতে শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই নেদারল্যান্ডসকে বড় ব্যাবধানে হারাতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশেকে হারাতে পারলে এবং নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ অথবা শ্রীলঙ্কা যে কারও সাথে হারলে পরের রাউন্ডে উঠে যাবে নেপাল। আবার বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে যদি নেপাল বাংলাদেশকে হারায় এবং শ্রীলঙ্কা নেদারল্যান্ডসকে তবেও নেট রান রেটের ভিত্তিতে সুপার এইটে উঠতে পারে নেপাল।
সব থেকে সহজ পথে আছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। তাদের বাকি দুইটি ম্যাচ জিতে সহজেই সুপার এইটে চলে যেতে পারবে যে কোনো এক দল। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ দুইটি জিততে হবে নেদারল্যান্ডসকে।
অপরদিকে, সুপার এইটে পৌঁছাতে নেপাল ও নেদারল্যান্ডসেকে হারাতে হবে বাংলাদেশের। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গিয়ে নেপালের সাথে জিতেও পরের রাউন্ডে যেতে পারবে বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কা নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয়। তবে সেক্ষেত্রে নেট রান রেটের হিসাব আসবে।
তাই তো গ্রুপ ডি থেকে এখনও বাদ যায়নি একটি দলও। সকল দলের কাছেই আছে সুযোগ পরের রাউন্ডে যাওয়া। তবে কিছু দলের তাতে ভাগ্য সহায় হওয়া লাগবে আর কিছু দলের ভাগ্য আছে তাদের নিজের হাতেই।