নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ – পরিচিত প্রবাদটির উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে না জিতলে কিংবা অল্প ব্যবধানে জিতলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়া যাবে, খুব সম্ভবত সেই পথেই হাঁটবে তাঁরা। অন্তত জশ হ্যাজলউড সংবাদ সম্মেলনে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
কিন্তু ইচ্ছেকৃতভাবে স্কটল্যান্ড ম্যাচে সুবিধাজনক ফলাফল আনতে চাইলে কড়া মূল্য দিতে হবে অজিদের। কেননা আইসিসির নিয়মানুযায়ী, এর শাস্তি হিসেবে দলের অধিনায়ক চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট এবং দুইটি সাসপেনশন পয়েন্ট পাবেন। অর্থাৎ সুপার এইটের দুই ম্যাচেই মিচেল মার্শকে বসে থাকতে হবে সাইড বেঞ্চে। যদিও মূল একাদশ না খেলানো এটির আওতায় পড়বে না।
ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও বড় ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশরা। সেজন্যই মূলত সেরা আটের দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়েছে দলটি, তাঁকিয়ে থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। নিজেদের পরের দুই ম্যাচ জিততে পারলে এবং স্কটিশরা যদি হেরে যায় অজিদের বিপক্ষে তাহলে নেট রান রেটে ভর করে পরের পর্বে যেতে পারবে তাঁরা।
কিন্তু ওয়ার্নার, হেডরা যদি কোনভাবে হেরে যায় তাহলে কোন সম্ভাবনাই থাকবে না ইংল্যান্ডের। এছাড়া জয়ের ব্যবধানে খুব ছোট হলে রান রেটে স্কটল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন হবে জশ বাটলারদের জন্য। সবমিলিয়ে তাই পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
হ্যাজলউড অবশ্য গণমাধ্যমে সরাসরি জানিয়েছেন ইচ্ছের কথা। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড অবশ্য সেরা দলগুলোর একটি। আমাদেরও তাঁদের সাথে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তাই আমার মনে হয়, তাঁরা বাদ পড়া আমাদের জন্য ভাল এমনকি বাকিদের জন্যও।’
অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ডকে সুবিধা দিবে সেই সম্ভাবনা তাই উড়িয়ে দেয়া যায় না। নিজেদের বেঞ্চের শক্তি পরখ করার অজুহাতে হয়তো সেরা একাদশের কয়েকজনকে বিশ্রাম দেয়া হবে; এর আগে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের সুবিধার জন্যই মন্থরগতিতে ব্যাটিং করেছিল দলটি। তাই মিশেল মার্শের নিষেধাজ্ঞার ভাবনা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিলেও নিতে পারে তাঁরা।