বজ্রপাতের সময় আলোর যেমন ঝলকানি দেখা যায়, ঠিক আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিদায়ের ঝলকানি দেখেছিল নিউজিল্যান্ড। তাইতো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে সব চেষ্টাই করেছে কিউইরা। তবে দিনশেষে ক্যারিবিয়ান সাগরেই ডুবলো কেইন উইলিয়ামসনদের বিশ্বকাপের তরী।
এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ সি’য়ের শীর্ষে অবস্থান করছে ক্যারিবিয়ানরা। তাঁরা তিন ম্যাচের তিনটিতেই পেয়েছে জয়ের দেখা। আবার আফগানিস্তানও রয়েছে সুবিধাজনক স্থানেই। আর সেটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো কিউইদের জন্যে। আফগানদের বিপক্ষে লজ্জার পরাজয়ে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
টসে জিতে প্রথমে সুবিধা করতে পারলেও, ইনিংসের শেষের দিকে শেরফান রাদারফোর্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খেই হারায় কিউই বোলাররা। যদিও পিচ বলছিলো ম্যাচ হবে লো স্কোরিং। তবে দিনশেষে ক্যারিবিয়ানরা ১৫০ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় ডেভন কনওয়ে- ড্যারিল মিশেলদের।
আবার ব্যাটিংয়ে নেমে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিতে থাকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। আলজারি জোসেফ আর গুদাকেশ মতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণই করে বসলেন তাঁরা। ২০ ওভার শেষে মাত্র ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় উইলিয়ামসনদের ইনিংস। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি জিতে যায় ১৩ রানে।
দুই ম্যাচে দুই পরাজয়ে নিয়ে পয়েন্টস টেবিলের একদম তলানিত অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। আর তাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফির ক্ষুধা যেন আরো দীর্ঘ হল কিউই শিবিরে। নিউজিল্যান্ডের সামনে এখন পাপুয়া নিউগিনি আর নবাগত উগান্ডা। তাঁদের বিপক্ষে জয় পেলেও জটিল গাণিতিক হিসাবে বসতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।
দুই হারেই বিদায়ের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড শিবিরে। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা, বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা না ঘটলে বাকি দুই ম্যাচ শেষে বাড়ির পথ ধরবে নিউজিল্যান্ড।