বেদনাবিধুর ও বৃষ্টিস্নাত বিদায় পাকিস্তানের

১৯৮০ কিংবা ১৯৯০, ক্রিকেট বিশ্বে তখন পাকিস্তান হয়ে উঠেছিল পরাশক্তি। সেসময় যদি বলা হতো নিজেদের ক্রিকেট ভাগ্য নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে পাকিস্তানকে তাহলে নিশ্চয়ই হেসে উঠিয়ে দিতো সমর্থকেরা। অথচ এখন সেটাই হয়েছে, এই দুই দলের খেলা দেখার অপেক্ষায় মাঝরাত অব্ধি জেগে আছে পুরো পাকিস্তান।

তবে এত অপেক্ষার শেষটা সুন্দর হলো না, বরং একরাশ বেদনা নিয়েই টিভিসেটের সামনে থেকে উঠতে হলো তাঁদের। কেননা বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ। বৃষ্টি কেবল এই ম্যাচ ভাসিয়ে নেয়, ভাসিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানের সুপার এইটে খেলার স্বপ্নও। সেই সাথে সেরা আটে পৌঁছে দিয়েছে মার্কিনিদের।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই অকল্পনীয় এক অঘটনের শিকার হয়েছিল বাবর আজমের দল; প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া অ্যারন জোন্স, সৌরভ নেত্রাভালকাররা হারিয়ে দিয়েছিল তাঁদেরকে। ফলে শুরুতেই সেরা আটের স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কা খায় তাঁরা।

এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষেও জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয় ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং আর ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে পর পর দুই পরাজয়ের স্বাদ পায় তাঁরা। অন্যদিকে উদ্বোধনী ম্যাচেই কানাডাকে হারিয়ে দেয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তাই তো সেরা আটে খেলতে হলে স্রেফ এক পয়েন্ট দরকার ছিল দলটির। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য লড়াই করেও হেরে গিয়েছিল; তাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হতো, কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই টিকিট পাওয়া যেতো পরের রাউন্ডের।

ভাগ্য বিধাতা আর ব্যাট-বলের লড়াই দেখতে চাননি বোধহয়। সেজন্যই বৃষ্টি ঝরিয়েছেন ফ্লোরিডায়, আমেরিকান ক্রিকেটারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের পুরষ্কার দিয়েছেন। টুর্নামেন্ট জুড়ে যেভাবে খেলেছে তাঁরা তাতে আসলে পরের রাউন্ডে খেলাটা প্রাপ্যই ছিল তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link