জন্মটা দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হলেও গায়ে বইছে ভারতীয় রক্ত। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে বল করেছেন পূর্বপুরুষদের দেশের বিপক্ষে। বলছি দক্ষিণ আফ্রকার বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজের কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে বল হাতে এসেই ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে আনেন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মহারাজের পূর্বপুরুষের একাংশ ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে ডারবানে চলে আসেন। পরবর্তীতে সেখানেই থেকে যান তাঁরা। মহারাজের বাবাও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বনামধন্য ক্রিকেট দল কাওয়াজুলু নাটালের হয়ে পালন করেছেন উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ক্রিকেট তাঁর রক্তে বহমান।
ফর্মে থাকা মার্কো ইয়ানসেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১৫ টি রান দিয়ে দিলে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তবে মহারাজ যেন এলেন ত্রাতার রুপে। দ্বিতীয় ওভারে মুহূর্তেই ঘুরিয়ে ম্যাচের মোমেন্টাম।
বাগিয়ে নেন ভারতের দলপতি রোহিত শর্মা আর আসর জুড়ে নিয়মিত রান করে আসা ঋষাভ পান্তের উইকেট। যেখানে রোহিত সাজঘরে ফেরেন হেনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে, আর পান্ত ফাঁদে পড়েন ডি ককের দস্তানায়। সেখানেই ভারতের টপ অর্ডারের ভাঙনের শুরু।
যদিও পরের ওভারগুলোতে কোনো উইকেটের আসেনি মহারাজের ঝুলিতে। তবে তিনি হাত খুলে খেলতেও দেননি ভারতীয় ব্যাটারদের। এই ম্যাচে তিন ওভার বল করেছেন এই বাহাতি স্পিনার। তাতে খরচ করেছেন ২৩ রান, যেখানে ইকোনমি রেট ছিল ৭.৬৬।
৩৪ বছর বয়সী মহারাজ এবারের আসরে প্রতি ম্যাচেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। বল করেছেন, বাগিয়েছেন উইকেট, প্রোটিয়াদের জয়ে রেখে গিয়েছেন ভূমিকা। ফাইনালের মঞ্চেও বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম ঘটেনি তাঁর, রেখে গিয়েছেন নিজের চিহ্ন।