ঘরের মাঠে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ, গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা জার্মানির প্রত্যাবর্তনের জন্য এর চেয়ে ভাল মঞ্চ আর হতে পারতো না। এমন সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে তাই ভুল করেনি দলটির ফুটবলাররা, একের পর এক ম্যাচে নিখুঁত পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী দেখাচ্ছে তাঁরা। সবশেষ ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা আটে জায়গা করে নিলো জার্মানি।
ইউরোতে ছোট দল কিংবা বড় দল ট্যাগ দেয়া কঠিন; স্পিডি ফুটবল আর সুনিপুণ কৌশলে যে কেউ হারিয়ে দিতে পারে অন্য যে কাউকে। বিশেষ করে ডেনমার্কের মত মাঝারি সারির দলগুলো অঘটন ঘটাবে সেই সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। সেজন্য রাউন্ড অব সিক্সটিনে মাঠে নামার আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়েছে স্বাগতিকদের।
এদিন বরাবরের মতই ৪-২-৩-১ ছকে একাদশ সাজিয়েছিলেন জুলিয়ান নাগেলসম্যান। মূলত উইং ধরে আক্রমণ সাজানোর লক্ষ্যে দুই পাশে দুই স্পিডি ফরোয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর শিষ্যদের রুখে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ড্যানিশরা খেলেছে ৩-৫-২-১ ছকে। মিডফিল্ডে আধিপত্য বিস্তার করে খেলার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
সেই পরিকল্পনা অবশ্য প্রায় ভেস্তেই গিয়েছিল ম্যাচের শুরুতে। টনি ক্রুসের কর্নার কিক থেকে গোল করে বসেছিলেন স্কোলাটারব্যাক, তবে রেফারি ফাউলের বাশি বাজিয়ে দেয়ায় স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে। জার্মানির মত একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ডেনমার্ককেও, বিরতির পর পরই জালের দেখা পেয়েছিলেন আন্ডারসন, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল।
শেষমেশ ৫৩ মিনিটে কাটে অচলাবস্থা, হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন কাই হাভার্টজ। পিছিয়ে পড়েও এরিকসনরা চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচে ফেরার, তবে ৬৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে তাঁদের সব আশায় জল ঢেলে দেন তরুণ জামাল মুসিয়ালা।
আপাতত জার্মানির চোখ থাকবে স্পেন বনাম জর্জিয়া ম্যাচের দিকে, কেননা এই ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষেই দিন কয়েক পর কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে তাঁরা।