নখ কামড়ানো ম্যাচে তুরস্কের জয়

একটা স্বপ্নের রাত। দুই ডার্ক হর্সের লড়াই। শেষ মুহূর্ত অবধি তুরস্ক আর অস্ট্রিয়া নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু এবারের জয়ের হাসিটা লেখা ছিল তুরস্কের ভাগ্যে। এক গোলের ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক। তাতে করে ২০০৮ সালের পর আবারও রাউন্ড অব সিক্সটিনের বাঁধা পেরুল তুরস্ক।

দুই সমশক্তির ম্যাচ। পুরো ইউরোপ একটা জম্পেশ লড়াইয়ের অপেক্ষা করেছে। অস্ট্রিয়া কিংবা তুরস্ক কেউই আসলে হতাশ করেনি দর্শকদের। জার্মানির লাইপজিগের রেডবুল স্টেডিয়ামে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দুই দলের সমর্থকদের উপড়ে পড়া ভীড় ছিল স্টেডিয়াম জুড়ে।

সেই ভীড়ের এক অংশকে আনন্দের হিল্লোল এনে দেন টার্কিশ ডিফেন্ডার মেরিহ ডেমিরাল। ম্যাচের এক মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন তিনি। কর্ণার কিক থেকে বক্সের ভেতর বলের জোগান দেন আর্দা গুলের। সেই বল ডি-বক্সে আসা মাত্রই দ্বিধার সৃষ্টি হয় অস্ট্রিয়ার রক্ষণ দূর্গে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বা-পায়ে বল জালে জড়ান ডেমিরাল।

উচ্ছ্বাসের যেন নেই কোন শেষ! পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ সাঁজাতে থাকে অস্ট্রিয়া। তুরস্কের রক্ষণ অধিকাংশ সময়ই থেকেছে অবিচল। ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোন গোলের দেখা পায়নি দুই দল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই কোয়ার্টার ফাইনাল প্রত্যাশী।

বিরতি থেকে ফিরে দুপক্ষই সমানতালে আক্রমণ চালিয়ে যায়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তুরস্ক। এবারও তাদের হয়ে গোল আদায়ের কাজটা করেন ডেমিরাল। আর্দা গুলেরের আরও একটি অসাধারণ কর্ণার এবার সোজা ডেমিরালের মাথা খুঁজে নেয়। ডেমিরাল কোন রকমের ভুল ছাড়াই দলকে ২ গোলের স্বস্তি এনে দেন।

এরপর অস্ট্রিয়ার কাছে আক্রমণ করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা ছিলনা। তুরস্কের রক্ষণ রীতিমত নাছোড়বান্দা। তারা অস্ট্রিয়াকে সুযোগ দিতেই নারাজ। তবুও দমিয়ে রাখা যায়নি। ৬৬ মিনিটে জালের ঠিকানা পেয়ে যায় অস্ট্রিয়া। তাদের সন্ধ্যানের পরিসমাপ্তি ঘটান বদলি খেলোয়াড় মাইকেল গ্রেগরিচ।

ম্যাচে তখন ২-১ গোল ব্যবধান। এরপর গোলের অন্বেষণে আরও মনোযগী হয়ে ওঠে অস্ট্রিয়া। কিন্তু শেষ অবধি আর কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। ফলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটে তুরস্ক। বার্লিনে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link