ইউরোতে আলো ছড়ানো তরুণেরা

চলতি ইউরোর গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছে অনেক আগেই, এখন তো রাউন্ড অব সিক্সটিন পেরিয়ে অপেক্ষা কোয়ার্টার ফাইনালের। পেরিয়ে আসা সময়টাতে অনেক ফুটবলারই মুগ্ধ করেছেন সমর্থকদের, কেউ দলকে জিতিয়েছেন কেউ আবার চোখে লেগে থাকার মত মুহুর্ত উপহার দিয়েছেন। এদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।

এই যেমন জামাল মুসিয়ালা, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে আলো ছড়ানো এই অ্যাটাকার জাতীয় দলের জার্সিতে জ্বলে উঠবেন সেটাই ছিল প্রত্যাশা। হয়েছেও তাই, এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম করেছেন তিনি। কোন অ্যাসিস্ট না পেলেও তিন তিনটি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে অবস্থান তাঁর। শুধু গোল নয়, ড্রিবলিং করে প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দিতেও কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না তাঁকে।

১৬ বছরের বিস্ময় বালক লামিন ইয়ামালে অবশ্য গোল বা অ্যাসিস্টে নিজেকে আটকে রাখেননি। অবিশ্বাস্য ছন্দে নিজের খেলাটা খেলে যাচ্ছেন তিনি; তাঁকে আটকাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে বিশ্বসেরা ডিফেন্ডারদেরও।

তাঁরই সতীর্থ আরেক তরুণ নিকো উইলিয়ামসও হাঁটছেন একই পথে। উইং ধরে গতির ঝড় তুলে এক নিমিষেই প্রতিপক্ষের রক্ষণ এলোমেলো করে দিচ্ছেন তিনি। ইতালির বিপক্ষে তো গোল বা অ্যাসিস্ট না করেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার বাগিয়ে নিয়েছিলেন।

ইউরোপের আলো জলমলে ক্লাব ফুটবলে না থাকায় জাভি সিমন্সকে নিয়ে আলোচনা একটু কমই হয়। তবে ইউরোপীয় কাপে ঠিকই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনটি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে; নেদারল্যান্ডস যে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সেজন্য তাঁকে বড়সড় ধন্যবাদ দিতেই হবে।

অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা জুড বেলিংহ্যাম পুরো উদ্যমে ছুটছেন আরো একটি মেজর ট্রফির দিকে। সেরা ষোলোতে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে অন্তিম সময়ে গোল করে তিনিই বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। এছাড়া দলটির মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও দারুণভাবে পালন করছেন এই তারকা।

এরা ছাড়াও আর্দা গুলার, জর্জেস মিকাউতাদজে কিংবা ক্রিস্টোফ বাউমগার্টনার সহ বেশ কয়েকজন উদীয়মান তারকা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পারফরম করেছেন; এসেছেন লাইমলাইটে। এখন কেবল দেখার বিষয়, এই সম্ভাবনাময়ী ফুটবলাররা আগামী দিনগুলোতে কতটা ধারাবাহিক থাকতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link