অদ্ভুত কোন পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয়ার পুরনো অভ্যাস আছে গৌতম গম্ভীরের; ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের অংশ থাকাকালীন হুট করে সুনীল নারাইনকে ওপেনার বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এখন ভারত জাতীয় দলের কোচ হয়েও কি সে রকম কিছু করার ইচ্ছে আছে তাঁর; সাম্প্রতিক কিছু দৃশ্য অবশ্য হ্যাঁ-বোধক উত্তরের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
এই যেমন ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে সেশনে দেখা যায় হার্দিক পান্ডিয়া স্পিন বোলিং করছেন। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কেন স্পিন বোলিং বেছে নিলেন কে জানে, তাও আবার স্রেফ হাত ঘুরানোর জন্য নয় – পুরোদস্তুর অনিল কুম্বলের মতো লেগ স্পিন করছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, সদ্য টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া সুরিয়াকুমার যাদব বনে গিয়েছেন পেস বোলার। চামড়ার বলটা হাতে তুলে নিয়ে তিনি গতির ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন অনুশীলনে। এরপর তাহলে কি দেখা যেতে পারে? জাসপ্রিত বুমরাহ ওপেনিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাকি রোহিত শর্মা ফিনিশার হিসেবে স্লগ করার বিদ্যে ঝালাই করছেন?
আচরণগত ভাবে গম্ভীর সবসময়ই আগ্রসনের পথ বেছে নিয়েছিলেন; ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনোই আপোষ করেননি তিনি, প্রতিপক্ষের চোখে চোখে রেখে কথা বলতে সংশয় ছিল না। কোচ কিংবা মেন্টর হিসেবেও সাহসী সব সিদ্ধান্ত নিতে তাঁকে একটুও ভাবতে হয় না।
এইতো নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে সুরিয়াকুমার যাদবকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হলো। গুঞ্জন আছে, এর পিছনে হাত আছে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনারের। আগামী দিনগুলোতেও নিশ্চয়ই এমন অপ্রত্যাশিত অনেক সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি; যখন যা ভাল হবে তাই করবেন নির্দ্ধিধায়।
আইপিএলে গৌতম গম্ভীরের রেকর্ড বেশ ভাল, তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দল পরিচালনা করা সহজ হবে না মোটেই। কঠিন কাজটা তিনি কিভাবে করেন, কতটুকু সফলতা পান সেটাই এখন দেখার বিষয়।