দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে পেলেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের দেখা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফলতার পর বহুদিন বাদে আবারও ওয়ানডে দলে খেলার সুযোগ পেলেন তিনি। সময়ের হিসেবে প্রায় বছর পাঁচেক পর ওয়ানডে দলে খেলার সুযোগ পেলেন শিভাম। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন শিভাম ম্যাচ বাঁচিয়ে।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ভারত জাতীয় দলে একটু একটু করে জায়গা করে নিচ্ছেন শিভাম দুবে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। সে সুবাদে তাকে জায়গা দেওয়া হয় ভারতের বিশ্বকাপ দলে। ভাগ্য বদলাতে শুরু করলে সবদিক থেকেই সফলতার দুয়ার খুলে যায়।
প্রায় ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। আর সেই দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন শিভাম। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন। তাকে এখন ওয়ানডে দলেও অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন নয়া কোচ গৌতম গম্ভীর। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ভারত দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হার্দিক পান্ডিয়া।
কিন্তু হার্দিকের ইনজুরি সংক্রান্ত ঝামেলা থাকায়, একজন ব্যাকআপ প্রয়োজন ভারতের। ঠিক সে কারণেই সম্ভবত শিভামকে ২০১৯ সালের পর আবারও ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে দেখা গেল। আর সেই ম্যাচে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে দলের ম্যাচ বাঁচালেন তিনি। প্রথমে বল হাতে নিজের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তুলে নেন শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট। কুশল মেন্ডিসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি রান দিয়েছেন মাত্র ১৯টি। কলম্বোর উইকেটে ব্যাটিং করাটা এদিন ছিল ভীষণ দুর্বিষহ। এমন পরিস্থিতিতে লঙ্কান ব্যাটারদের কোনরকম সুযোগ সৃষ্টি করতে দেননি দুবে।
আসল কাজটা তিনি মূলত করেন ব্যাট হাতে। এদিনও উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে এরপর কলম্বোর উইকেট ভারতীয় ব্যাটারদেরও দারুণ পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষা দিতে গিয়ে একটা পর্যায়ে ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যেতে শুরু করে ভারতের।
১৩২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে চাপ প্রশমিত করবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন শিভাম। সঙ্গী হিসেবে সাথে পান টেল এন্ডারদের। তাদেরকে সাথে নিয়েই ধীর লয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন লক্ষ্যের দিকে। কিন্তু লক্ষ্য থেকে এক রান দূরে থাকতে নবম ব্যাটার হিসেবে তার প্রস্থান ঘটে। ২৪ বলে ২৫ রান করে পরাজয় এড়ান শিভাম।
তিনি আউট হওয়ার পর মুহূর্তেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। তাতে করে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ থেকে যায় ফলাফল শূন্য। তবুও এমন কঠিন পরিস্থিতিতে শিভাম যতটা দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন- তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাছাড়া তার এমন পারফরমেন্স তার টিকে যাওয়ার স্বপক্ষের যুক্তি হবে নিশ্চিতরূপেই।