২০২২ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গতির ঝড় তুলে খবরের শিরোনাম বনে গিয়েছিলেন উমরান মালিক। সেই সুবাদে জাতীয় দলেও দ্রুতই সুযোগ পান তিনি। কিন্তু এরপরই বাঁধে বিপত্তি, ছন্নছাড়া বোলিং আর ইনজুরির কারণে ভরসার প্রতিদান দেয়া সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। এরপর নির্বাচকদের ভাবনা থেকেও বাদ দেয়া হয় তাঁকে।
সবশেষ আইপিএল দিয়েই পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন এই পেসার, কিন্তু সেখানেও ভাগ্য সহায় হয়নি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ফাইনাল খেললেও তিনি সুযোগ পেয়েছেন স্রেফ এক ম্যাচে, সেখানেও আবার হাত ঘুরিয়েছেন কেবল এক ওভার। ম্যাচ না খেলতে পারার আক্ষেপ থাকলেও ঠিকঠাক অনুশীলন করতে পারায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে তাঁর মনে।
এই ডানহাতি বলেন, ‘আমি পুরো বছর খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে রাজ্য দলের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি, আইপিএলেও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে নিজেকে নিয়ে কাজ করার সময় পেয়েছি। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে পারব আমি অবশ্যই আগের চেয়ে ভাল বোলার হয়ে উঠেছি।’
উমরানের মূল সমস্যা অবশ্য ইকোনমি; প্রতি ওভারেই একাধিক বাজে ডেলিভারি করে বসেন, ফলে ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হয় না। ভারতের সাবেক বোলিং কোচ পরশ মাম্ব্রে তো বলেই দিয়েছেন, বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই রোহিত শর্মার বিশ্বাস হারিয়েছেন উমরান।
যদিও এ ব্যাপারে কাজ করতে শুরু করেছেন কাশ্মীর এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন বলে বোলিং করছি, কারণ আমার যে গতি সেখানে সুইং দারুণ কার্যকরী হতে পারে। আবার নিখুঁত ইয়র্কার করার চেষ্টা করছি, যদি পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারি তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিতে ইয়র্কার করার আত্মবিশ্বাস পাব। ব্যাটারদের বিস্মিত করার উপায় জানা থাকতে হবে আপনার।
এই তরুণ আরো বলেন, ‘আমি আপাতত দিলীপ ট্রফির অপেক্ষায় আছি। রঞ্জিতে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলে অনেক কিছু শিখেছি। তাই পুরো মৌসুম খেলতে পারলে নিজের সামর্থ্য আরো ভালভাবে জানতে পারব, উন্নতি করতে পারব। লাল বল হাতে তুলে নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।’