অবিশ্বাস্যের জন্ম দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে গিয়েছিল ভারত। এতদিনে বিস্ময় অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে, তবে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। কেননা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোন ম্যাচ ড্র হলে সুপার ওভার হবে, কিন্তু সেদিন ম্যাচ ড্র হওয়া মাত্রই মাঠ ছাড়েন আম্পায়ার সহ ক্রিকেটাররা সবাই।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউই অবশ্য সুপার ওভার নিয়ে কথা বলেনি, দুই দলের প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। কিন্তু সময় গড়াতেই বোঝা যায় ম্যাচ অফিসিয়ালরা বড়সড় ভুল করে বসেছেন।
মূলত সিরিজ উপলক্ষে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (সিএলসি) এবং বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর মধ্যকার সমঝোতা স্মারকে সুপার ওভার নিয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ না থাকায় আম্পায়ারদের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য তাঁরা নিজেরা ভুল বুঝতে পারেন এবং সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ড্র হলে সুপার ওভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে অবশ্য সুপার ওভার নিয়ে স্পষ্ট নিয়ম ছিল না। তবে ফাইনালের নাটকীয়তার পর এই ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়ম তৈরি করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসি কতৃক প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই ইনিংস শেষে যদি দুই দলের রান সমান হয় তাহলে অবশ্যই সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হবে। এবং যদি সুপার ওভারেও টাই হয় সেক্ষেত্রে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে। তবে ব্যতিক্রমী কোন পরিস্থিতির কারণে সুপার ওভার আয়োজন সম্ভব না হলে ম্যাচ টাই হবে।’
প্রথম ওয়ানডেতে তিন ওভারে মাত্র পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের, হাতে ছিল দুই উইকেট। তখন চার মেরে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন শিভাম দুবে। কিন্তু বাকি এক রান নেয়ার আগেই পরপর দুই উইকেট তুলে নেন লঙ্কান স্পিনার চারিথ আসালাঙ্কা।