গুঞ্জন তবে সত্যি হয়েছে শেষমেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। দিন পাঁচেক ধরেই আলোচনাতে ছিলেন তিনি। ২১ আগস্ট বিসিবির জরুরি সভায় তাকে সভাপতি করবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে শুরু হয় বিসিবির জরুরি সভা। সেখানে প্রথমে ভিডিও কলে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান পাপন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হর্তাকর্তা ছিলেন তিনি। সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নাজমুল হাসান।
শূন্যস্থান পূরণের জন্য বেশকিছু নাম ঘুরে বেড়িয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায়। তবে সেসব নামের মাঝে ফারুক আহমেদের নামটি ছিল সবচেয়ে জোরালো। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল ইউনুসের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ফারুক আহমেদের সভাপতি হওয়ার রাস্তা খানিক পরিষ্কার হয়েছিল। কেননা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হতে হত ফারুক আহমেদকে।
সেখান থেকে বাকি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হতে হত তাকে। শেষ অবধি হয়েছে তেমনটি। নাজমুল হাসানের পদত্যাগের পর তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব। জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার এর আগে অবশ্য বিসিবি এর অধীনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে একটা সময় দায়িত্বরত ছিলেন ফারুক আহমেদ। এরপর অবশ্য তিনি ছিলেন না তেমন কোন আলোচনায়। দেশের সরকার বদলের পর বিসিবি-তে বদল আসা ছিল অবধারিত। কেননা সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন বিগত সরকারের একজন মন্ত্রী। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
সরকার পতনের বেশ আগেই তিনি লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে সহসাই ফিরবেন না নাজমুল হাসান। তাইতো বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে একজন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির প্রয়োজন দেখা দেয়। তবে বিসিবি ও আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দায়িত্বরত সভাপতির পদত্যাগ ব্যতীত নতুন সভাপতি নির্বাচনের সুযোগ নেই।
সেসব কিছু মাথায় রেখেই প্রথমে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান। এখন ফারুক আহমেদের উপর অর্পণ করা হয়েছে বিসিবি পরিচালনার দায়িত্ব। বোর্ড পরিচালনার পাশাপাশি আগামী বোর্ড নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বভার রয়েছে তার কাঁধে। এখন নতুন এই কর্তব্য কতটুকু নিষ্ঠার সাথে পালন করেন ফারুক আহমেদ সেটাই এখন দেখবার পালা।