উইকেটের ছিল ঘাস, মাটিতেও ছিল বৃষ্টির ছোঁয়া। পেসারদের জন্যে প্রায় আদর্শ পরিবেশ। সেই পরিবেশের পূর্ণ ফায়দাই তুলেছেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের শুরুতেই তুলেছেন উইকেট। এরপর আবার দিনের শেষবেলায় আরও একটি উইকেট বাগিয়েছেন ডান হাতি এই পেসার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণের দায়িত্বটা নিজ কাঁধেই তুলে নেন হাসান মাহমুদ। শুরু থেকেই লাইন ও লেন্থে একেবারেই কোন ছাড় দেননি হাসান।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের অফ স্ট্যাম্পের চ্যানেলকে বারবার হুমকির মুখে ফেলেছেন। লেন্থের তারতম্য ঘটিয়েছেন। গুড লেন্থে বল ফেলে অভ্যস্ত করেছেন আবদুল্লাহ শফিককে। এরপর এক ফুলার লেন্থের বল ছুড়ে দেন। ড্রাইভ করার প্রলোভনে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি আবদুল্লাহ শফিক।
তিনি একটা এক্সপেন্সিভ ড্রাইভ খেলার প্রয়াশ চালালেন। তাতে করে বল ছুটে যায় গালি অঞ্চলের দিকে। ভীষণ গতিতে বেড়িয়ে যাচ্ছিল বল। কিন্তু সেই বলকে ছো মেরে নিজের তালুতে বন্দী করেন জাকির হাসান। তাতে করে পাকিস্তানের প্রথম উইকেটই চলে যায় হাসানের পকেটে।
এরপর অবশ্য আর উইকেটের দেখা পাননি হাসান। দীর্ঘক্ষণ বল করেছেন। আউটফিল্ড ভেজা থাকায় এক সেশন খেলাই হয়নি। দিনের শেষ সেশনে আরও একটি উইকেটের দেখা পান হাসান। প্রায় একই ধরণের উইকেট তিনি পেয়ে যান। পাকিস্তানের আরেক ওপেনার সায়িম আইয়ুবকে ফেরান হাসান মাহমুদ।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই চাপকে দূরে ঠেলে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাই করেছেন আইয়ুব। সে চেষ্টা ব্যক্তিগত অর্ধশতকও আদায় করে ফেলেন সায়িম। নিজের ইনিংসকে বড় করবার দিকেই অগ্রসর হচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু সেটি হতে দেননি হাসান। আরও একটি ফুলার লেন্থের বল ছুড়ে দেন অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। সেই বলে থিতু হয়ে যাওয়া সায়িম বাউন্ডারি আদায় করার চেষ্টা চালান। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটেনি ঠিকঠাক। ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপ অঞ্চলে বল চলে যায়। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের।
দিনশেষে ১৩ ওভার বল করেছেন হাসান মাহমুদ। এই সময়ে ৩৩ রান দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে পাকিস্তানকে আধিপত্য বিস্তার করতে দেননি হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় দিনও হয়ত এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবেন হাসান।