দেশ থেকে রওনা দেওয়ার আগে সুবোধ বালকের মত কৈশোর পেরোনো ছেলেটা বলে গিয়েছিলেন দেশের জন্য ভাল কিছু করতে চান। সেই কিশোরের রাজ্যাভিষেকের অনন্য এক অধ্যায় দেখছে রাওয়ালপিন্ডি।
বুকে কাঁপুনি ওঠানো একটা ভয় ধরিয়ে দিয়ে গেলেন নাহিদ রানা। সেই কাঁপুনিতে শান মাসুদের পর ফিরে গেলেন বাবর আজম। এরপর সৌদ শাকিল। মাঝখানে গোল্ডেন ডাকে ফিরতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। তিনি কোনো ক্রমে বাঁচলেন, গতির ঝড়ে ব্যাটার তো বটেই স্লিপ কর্ডনও তটস্থ থাকল।
স্রেফ গতির সাথে পাল্লা দিতে পারেননি বলেই প্রথম স্লিপে রিজওয়ানের ক্যাচটা ধরতে পারেননি সাদমান ইসলাম। এই গতির বোলার টেস্টে বাংলাদেশ তো আর আগে কখনও দেখেনি, সাদমানদেরও এমন ক্যাচ ধরার অভ্যাস নেই।
হাসিমুখে রানা ‘দলকে সার্ভিস’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সার্ভিসের চাপটা হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। নিখাদ ধুন্ধুমার গতির ধ্রুপদী প্রদর্শনী। সেই বিষে প্রথম টেস্টে নীল হয়েছিলেন বাবর, এবারও তাই। বল আসার আগে শরীর নাড়ানোরও সময় পাচ্ছেন না, ব্যাট যাচ্ছে তো শরীর যাচ্ছে না বলের কাছে – নাহিদ রানের বিপক্ষে এ যেন পাকিস্তানের নিয়মিত দৃশ্য।
রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের সকালের সেশনটায় এই রানার সুবাদেই দুর্দান্ত এক শুরু পায় বাংলাদেশ। ভয় ধরিয়ে দিয়ে কিভাবে উইকেট নিতে হয়, সেটা ভাল ভাবেই দেখিয়ে দিলেন রানা। কে ভেবেছিল সেই ভয়টা ছুঁয়ে যাবে বাবর আজমকে, যে বাবর কি না – বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। বাবরকে পরপর দুই টেস্টে আটকে ফেলা সহজ কাজ নয়।
রানা সহজের লক্ষ্যে ছোটেন না। তিনি দুর্বার গতিতে ছুটে যান কাঠিন্যের পথে। সামনের পথ যত কঠিন – ততই দ্রুত ছুটে যাবেন তিনি। আর সেই ছুটে চলায় প্রতিপক্ষের বুক যত কাঁপবে, ততই অজেয় হয়ে উঠবে বাংলাদেশ দল।