অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তুলনায় বাংলাদেশ সিরিজ কম গুরুত্বেরই বটে; ভারতের পেস বিভাগের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন জাসপ্রিত বুমরাহর ছুটির মেয়াদ তাই আরও বাড়বে এমনটাই ছিল ধারণা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তিনি, পরিকল্পনা ছিল কিউই সিরিজ দিয়ে ফিরবেন জাতীয় দলে।
কিন্তু হুট করেই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে ডাকা হয়েছে এই ডান-হাতিকে, স্বাভাবিকভাবেই সেটা কৌতূহল জাগিয়েছে সমর্থকদের মনে, কেন পরিকল্পনায় বদল এনেছেন নির্বাচকরা এমন প্রশ্ন ঘুরছে সবখানে?
মূলত বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের পরই নড়েচড়ে বসেছে টিম ইন্ডিয়া। তার উপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হারের ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি। তাই এবার আর কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি টিম ইন্ডিয়া। লঙ্কানদের বিপক্ষে বুমরাহ বিহীন পেস আক্রমণভাগ ছিল বৈচিত্র্যহীন, প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়েও চেপে ধরতে পারেননি মোহাম্মদ সিরাজরা। টাইগারদের বিপক্ষে এবার সেটার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না ম্যানেজম্যান্ট।
পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে বাংলাদেশ। পেস কিংবা স্পিন দুই বিভাগেই সমৃদ্ধ এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দল, সেজন্যই সমীহ করছে ভারত ৷ পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা – তাছাড়া ২০২২ সালে মিরপুর টেস্টে বিরাট কোহলিদের প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল স্বাগতিক বাহিনী, সেই স্মৃতিও টিম ইন্ডিয়ার মাথায় আছে নিশ্চয়ই। তাই বুমরাহকে বিশ্রামে রাখার ইচ্ছে বাদ দিতে হলো তাঁদের।
অথচ এ নিয়ে দিন কয়েক আগেও বিসিসিআই এর অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র দাবি করেছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা, না খেলা এই তারকা পেসারের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁকে ১২০ ভাগ ফিট অবস্থায় পেতে চায়, সেজন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই দলে ডাকার ইচ্ছে ছিল তাঁদের।
লম্বা বিরতি কাটিয়ে চেন্নাই টেস্ট দিয়েই বুমরাহ মাঠে নামবেন সেটা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। স্পিন বান্ধব উইকেট হওয়ায় দুই পেসার নিয়েই খেলার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে তাঁকে চাইলে একাদশের বাইরে রাখা যেতে পারে।