যেভাবে ওপেনার হয়ে ওঠেন বীরেন্দ্র শেবাগ

সাথে আছে ২০০৭ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। ভাগ্যিস সেদিন নিজে থেকে সৌরভের কাছে যান জহির খান। তা না হলে, বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনারটি আদৌ তাঁর সেরা জায়গাটা পেতেনই না।

বীরেন্দ্র শেবাগ, ওপেনিংয়ে ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের শেষ কথা। কিন্তু, চমকপ্রদ হলেও সত্য যে, শেবাগ যে মূলত একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার ছিলেন?

অনেকেই হয়তো অবাক হবেন এটা শুনে। কিন্তু সত্যিই তাই। শেবাগ তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু কিভাবে হলেন তিনি একজন বিশ্বসেরা ওপেনিং ব্যাটার ? কে দিল তাকে এই পরামর্শ?

আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা। দুই কিংবদন্তি শেবাগ আর শোয়েব আখতারের এক কথোপকথনে এ প্রশ্ন সর্বপ্রথম উঠে আসে। ১৯৯৯ সালের পাক-ভারতের বাইশগজী দ্বন্ডে শোয়েব, শেবাগের উইকেট নেয়া প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন করেন।

বীরুকে পিন্ডি এক্সপ্রেস এই সুবাদেই ছুড়ে দেন এক মজার প্রশ্ন, ‘সাত নম্বরে তুই করছিলি টা কি?’ মুচকি হেসে শেবাগ বলেন, ‘ঔ সময়ে মিডল অর্ডারেই ব্যাট করতাম।’ কৌতুহলি পিন্ডি এক্সপ্রেসের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসা যে কার বুদ্ধিতে তাকে(শেবাগ) ওপেনিং এ পাঠানো হয়।

এবার বিস্ময়ের বাধ ভেঙে জবাব দেন শেবাগ ‘এই বুদ্ধি আসলে জহির খানের ছিল। ওই সময় সৌরভ গাঙ্গুলিকে পরমর্শ দেয় আমাকে ওপেন করানোর।’

কি হকচকিয়ে গেলেন বুঝি? ঠিক তার পরপরই ২০০১ সালের জুলাই মাসে ভারত, শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি ওপেন করেন। সেটাও কিছুটা ভাগ্যের ফেরেই। ওই সময়েই শচীন পড়ে যান ইনজুরিতে। সেই সুবাদেই জহিরের কথায় ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে ব্যাট হাতে শেবাগ উদ্বোধন করেন।

২০০২ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে তিনি টেস্টে প্রথম ওপেন করেন। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি বিশ্বক্রিকেটের কিংবদন্তি শেবাগকে। খেলে ফেলেন ১০৪ খানা টেস্ট। রানের খাতায় যোগ হয় ৪৯.৩৪ গড়ে ৮৫৮৬টি রান।

যাতে ছিল ২৩ টি সেঞ্চুরি আর ৩২ টি হাফ সেঞ্চুরি। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ সহ ২৫১ টি ওয়ানডেতে ৩৫.০৫ গড়ে করেন ৮২৭৩ রান। তাতেও ছিল ১৫ টি সেঞ্চুরি আর ৩৮ টি সেঞ্চুরি। থেমে থাকেননি টি-টোয়েন্টিতেও। ১৯ টি টি-টোয়েন্টিতে দু’টি হাফ সেঞ্চুরি সমেত রান তার ৩৯৪।

সাথে আছে ২০০৭ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। ভাগ্যিস সেদিন নিজে থেকে সৌরভের কাছে যান জহির খান। তা না হলে, বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনারটি আদৌ তাঁর সেরা জায়গাটা পেতেনই না।

Share via
Copy link