লিয়াম লিভিংস্টোন, পূর্ণতার পথে পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার

ইংল্যান্ডের কেবল জ্যাকব বেথেল বাদে কেউই লিভিংস্টোনকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তবুও, শেষ অবধি হেসে খেলেই জিতেছে ইংলিশরা। সেজন্য পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা লিভিংস্টোনেরই ধন্যবাদ প্রাপ্য।

টি-টোয়েন্টি জমানার ‘বিগ থিঙ’ তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হট কেক। কেন তাঁকে নিয়ে টানাটানিটা খুবই যৌক্তিক সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন, আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেটের পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার।

নিজের অলরাউন্ডারশিপকে পরিপূর্ণতা দিতে যেন বদ্ধপরিকর লিভিংস্টোন। সেই যাত্রায় তিনি এবার ব্যাট-বলের যৌথ অবদানে হারালেন খোদ অজিদের। ১৯ তম ওভারে জয় নিশ্চিত করার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এই লিভিংস্টোন।

অস্ট্রেলিয়ার স্কোর মন্দ ছিল না। মাত্র ২২ বছর বয়সে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। এরপর ২৬ বলে জশ ইংলিসের দ্রুত ৪২ রানের সুবাদে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করে।

জবাব দিতে নেমে সাবলীল ছিল ইংল্যান্ড। তবে, ডেথ ওভারে ইংল্যান্ড কিছুটা হোঁচট খায় এবং দ্রুত উইকেট হারায়। ইংল্যান্ডের শেষ তিন ওভারে যখন ২১ রান দরকার তখন লিভিংস্টোন একটি ছক্কা ও একটি চার দিয়ে স্কোর সমতা আনেন। এক ওভার বাকি থাকতে আয়োজকদের জয় এনে দেন।

আর এই যাত্রার পুরোটা সময় অবদান রাখেন লিভিংস্টোন। তিনি তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান হজম করে নেন দুই উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে খেলেন ম্যাচ জেতানো একটা ইনিংস। ৮৭ রানের ইনিংস খেরেন ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা।

ইংল্যান্ডের কেবল জ্যাকব বেথেল বাদে কেউই লিভিংস্টোনকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তবুও, শেষ অবধি হেসে খেলেই জিতেছে ইংলিশরা। সেজন্য পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা লিভিংস্টোনেরই ধন্যবাদ প্রাপ্য।

Share via
Copy link