সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক – উপরের দিকে চারজন ব্যাটারের প্রত্যেকেই বাঁ-হাতি; মিডল অর্ডারে আবার আছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচআপের প্রথম শর্ত বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপক্ষে ডানহাতি অফ স্পিনার ব্যবহার – আর অধিনায়কের হাতে যদি থাকে রবিচন্দন অশ্বিনের মত অস্ত্র তাহলে তো কথাই নেই! ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অশ্বিন যে বিগ ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছেন সেটা স্পষ্ট।
বিস্তারিত আলোচনা শুরুর আগে একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, শ্রীলঙ্কায় মুত্তিয়া মুরালিধরন কিংবা ইংলিশদের মাটিতে জেমস অ্যান্ডারসনের চেয়ে ভারতের মাটিতে এই ডানহাতি বড় ‘সিরিজ উইনার’। ঘরের মাঠে তিনি কতটা অপ্রতিরোধ্য সেটা নিয়ে আর বাক্য ব্যয় করা তাই অপচয় বটে।
সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজেই ২৪ গড়ে ২৬ উইকেট শিকার করেছেন এই বোলার, সবমিলিয়ে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন। তাঁর ওপরে আছেন কেবল মুরালিধরন, ব্রড আর অ্যান্ডারসন – তবে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল স্ট্রাইক রেট কিন্তু তাঁর দখলেই।
বাঁ-হাতির বিপক্ষে অশ্বিন অতিমানবীয় রেকর্ডও বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ। তাঁর স্টক ডেলিভারি পিচ করে বাইরের দিকে বেরিয়ে যাবে, আর্মার আবার আসবে ভেতরের দিকে। আবার ক্যারম বা টপ স্পিন তো আছেই – এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন বাঁ-হাতির উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা টেস্ট ইতিহাসেই সর্বোচ্চ।
এই ভারতীয় স্পিনারের গত কয়েক বছরের ফর্মও কথা বলছে তাঁর পক্ষে; ২০২১ সালে নয় ম্যাচে ৫৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি, পরের বছর খানিকটা ম্লান হলেও ২০২৩ সালে স্রেফ সাত ম্যাচ খেলেই ৪১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন। এ বছরের গল্প তো আছেই বলা শেষ।
এখন দেখার বিষয়, বিধ্বংসী এই তারকাকে কিভাবে সামলান টাইগার ব্যাটাররা। ইংলিশদের যেভাবে ধসিয়ে দিয়েছেন সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আরেকবার নাকি শান্ত বাহিনী তাঁকে রুখে দিতে সক্ষম হবে – উত্তরটা তো সময়ই বলে দিবে, তবে সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই।