ভেন্যু পরিবর্তন হচ্ছে, ফরম্যাট পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না আয়ারল্যান্ড উলভসের। বাংলাদেশ সফরে এসে যেন পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না আইরিশরা।
এক মাত্র চার দিনের ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সাথে ৩০ রানে হেরেছে আয়ারল্যান্ড উলভস।
এই হারের ফলে বাংলাদেশ সফরে এসে কোন জয়ের মুখ না দেখেই শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে আইরিশদের। কারণ সূচি অনুযায়ী দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থাকলেও আয়ারল্যান্ড সরকারের নতুন কোভিড বিধি নিষেধের কারণে এক ম্যাচ না খেলেই আগামীকাল দেশে ফিরে যাবেন আইরিশরা।
হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে শুরুতেই চেপে ধরেন আয়ারল্যান্ডের বোলররা। ইনিংসের প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই আনিসুল হক ইমন বিদায় নেওয়ার পর ৮ রান করে ফিরে যান শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়।
দলীয় ২৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে অধিনায়ক সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে। কিন্তু, উইকেটে থিতু হয়েও ২২ রান করে ইয়াসির আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৪০ রানের জুটি। ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫২ রান যোগ করেন সাইফ হাসান।
তৌহিদ-সাইফের ব্যাটে যখন বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ তখনই উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ৪৮ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পরই উইকেটে এসে ১১ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রানের চাকা সচল করে দিয়ে যান শামীম পাটোয়ারি।
এরপর মাহমুদুল হাসান অঙ্কনের উইকেট হারালেও তৌহিদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ৫৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। আয়ারল্যান্ড উলভসের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন পিটার চেজ।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার ডিলানিকে হারায় আইরিশরা। দ্বিতীয় উইকেটে টেক্টর ও ডোহানি ৪৪ রান যোগ করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ২২ রান করে হ্যারি টেক্টর ফিরে যাওয়ার পরই পথ হারায় আয়ারল্যান্ড উলভসের ইনিংস।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন টাকার এবং ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন গেটকেট। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পক্ষে সুমন খান চারটি এবং তানভীর ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম দু’টি করে উইকেট শিকার করেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ১৮৪/৭ (ওভার:২০; সাইফ- ৪৮, আনিসুল- ০, মাহমুদুল- ৮, ইয়াসির- ২২, হৃদয়- ৫৮, শামীম- ২৮, অঙ্কন- ৯, বিপ্লব- ১*, সুমন- ২*) (ডেলানি- ৩-০-২৪-১, অ্যাডায়ার- ৩-০-২০-১, চেজ- ৪-০-৩৬-২, ক্যাম্ফার- ১-০-১৪-১, গেটকেট- ১-০-১৪-১)
আয়ারল্যান্ড উলভস: ১৫৪/১০ (ওভার:১৮.১; ডেলানি- ০, ডোহানি- ২৯, টেক্টর- ২২, টাকার- ৩৮, ক্যাম্ফার- ১, রক- ১৬, গেটকেট- ২৬*, অ্যাডায়ার- ১১, লিটিল- ১, হোয়াইট- ৭, চেজ- ১) (সুমন- ৩.১-০-২৮-৪, তানভীর- ৪-০-৩২-২, শামীম- ৩-০-২৮-১, বিপ্লব- ৪-০-৩৭-২, সাইফ- ১-০-৯-১)
ফলাফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৩০ রানে জয়ী।