মাত্র তৃতীয় ম্যানেজার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদকে একাধিকবার বিদায় করলেন পেপ গার্দিওলা। ২০১০-১১ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল পেপের বার্সেলোনা। পেপের আগে এই কৃতিত্ব ছিল মার্সেলো লিপ্পি (১৯৯৫-৯৬, ২০০২-০৩) এবং ওটমার হিজফেল্ডের (২০০০-০১, ২০০৬-০৭)।
চ্যাম্পিয়নস লিগ নক-আউটে ম্যানেজার হিসেবে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করলেন জিনেদিন জিদান। এর আগে ১২টি নক-আউটের সবগুলোতেই সফল ছিলেন তিনি।
২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো টানা দুইটি চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই ছিটকে পড়ল রিয়াল। ২০১০-১১ থেকে ২০১৭-১৮, এই আট মৌসুমে চারবার শিরোপা জয় ছাড়াও প্রতিবারই অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছে তারা।
২০০৮-০৯ মৌসুমের পর ম্যানচেস্টার সিটিই প্রথম ইংরেজ ক্লাব যারা চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো স্প্যানিশ ক্লাবের বিপক্ষে দুই লেগেই জিতেছে। শেষবার এই অর্জন ছিল লিভারপুলের। কাকতালীয় ব্যাপার হল, ভুক্তভোগী সেই রিয়াল। সেবার দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে ১০০তম গোলটি করলেন রহিম স্টার্লিং। ১৯৮১ সালে ডেনিস টুয়ার্টের পর তিনিই এই ক্লাবের হয়ে তিন অঙ্ক ছোঁয়া প্রথম ইংরেজ ফুটবলার।
সিটি ফরওয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড়, যিনি একটি ইংরেজ ক্লাবের হয়ে রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের নক-আউট পর্বের উভয় লেগেই গোলের দেখা পেয়েছেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কেবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রুড ফন নিস্টেলরয়ের (২০০২-০৩)।
সাম্প্রতিক সময়ে রিয়ালের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের নক-আউট পর্বে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন করিম বেনজেমা। গত ছয় ম্যাচে পেয়েছেন পাঁচ গোল।