Social Media

Light
Dark

মেসি কি তবে ফুরিয়ে যাচ্ছেন?

অবশ্য টেবিলের অবস্থান তাতে নড়চড় হয়নি খুব একটা, ৩০ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে সুয়ারেজ, টেইলররা। এক ম্যাচ কম খেলে নয় পয়েন্ট পিছনে আছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি সিনসিন্নাতি। অর্থাৎ নিউ ইয়র্কের মাঠে জিততে না পারলেও মেসি বাহিনীর আপাতত দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

জর্দি আলবা থেকে লিওনেল মেসি কিংবা লিওনেল মেসি থেকে জর্দি আলবা – বার্সেলোনার জার্সিতে দু’জনের দুর্দান্ত বোঝাপড়া মাঠে ফুটে উঠেছিল বহুবার। সেসব দিন অতীত হয়েছে বহু আগেই, তবে ইন্টার মিয়ামিতে যুগলবন্দীর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন তাঁরা। সবশেষ নিউ ইয়র্ক সিটি এফসির বিপক্ষে আরও একবার পুনরাবৃত্তি ঘটলো তাঁদের অতীত জীবনের।

স্কোরবোর্ডে নাম না থাকলেও মিয়ামির একমাত্র গোলে অবদান রয়েছে মেসির। তাঁর সঙ্গে লিংক আপ করেই বল নিয়ে ডি-বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন আলবা, এরপর কাট ব্যাক করে পাস দিয়েছেন লিওনার্দো ক্যাম্পানোকে। বাকি কাজ ক্যাম্পানোই করেছেন, দলকে এগিয়ে দিয়েছেন।

সমর্থকদের নস্টালজিয়ায় ভুগিয়েছেন ঠিকই, তবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পারফরম্যান্স খানিকটা ম্লান ছিল এদিন। একটা গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেননি তিনি, পুরো নব্বই মিনিট মাঠে থেকেও মাত্র পঁচিশটি সফল পাস দিতে পেরেছেন। আর গোলমুখে নিজে শট নিতে পেরেছেন কেবল একবার, সেটাও ফ্রি কিক থেকে।

মেসির ছায়া হয়ে থাকার দিনে জিততে পারেনি ডেভিড বেকহ্যামের দলও। অন্তিম মুহূর্তে তাঁদের স্বপ্ন ভেঙেছেন জেমস স্যান্ডস, সান্তিয়াগো রদ্রিগেজ মলিনার পাস থেকে ৯৫ মিনিটের সময় গোল করে বসেন তিনি। ফলে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়েছে সফরকারীদের, যদিও ভাগ্য সহায়তা না করলে আরো আগেই গোল হজম করতে হত। সেক্ষেত্রে হয়তো এক পয়েন্টও জুটতো না কপালে।

অথচ চোট কাটিয়ে রঙিন প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিলেন লিওনেল মেসি। মাঝের বিরতি কাটিয়ে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ফিরেই দুই গোল আর এক অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি, দলও জিতেছিল ৩-১ গোলের ব্যবধানে। তবে পরের ম্যাচেই হোঁচট খেলো তাঁরা।

অবশ্য টেবিলের অবস্থান তাতে নড়চড় হয়নি খুব একটা, ৩০ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে সুয়ারেজ, টেইলররা। এক ম্যাচ কম খেলে নয় পয়েন্ট পিছনে আছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি সিনসিন্নাতি। অর্থাৎ নিউ ইয়র্কের মাঠে জিততে না পারলেও মেসি বাহিনীর আপাতত দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

Share via
Copy link