ধারাভাষ্য কিংবা কোচিং নয়, তামিম বেছে নিচ্ছেন বিসিবি পরিচালনা

পুরাদস্তুর ধারাভাষ্যকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন তামিম ইকবাল খান। বাংলাদেশের ভারত সিরিজের মধ্য দিয়ে ধারভাষ্য কক্ষে নতুন সূচনা করেছেন দেশ সেরা ওপেনার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটাই কি তবে তার ভবিষ্যৎ?

পুরাদস্তুর ধারাভাষ্যকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন তামিম ইকবাল খান। বাংলাদেশের ভারত সিরিজের মধ্য দিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষে নতুন সূচনা করেছেন দেশ সেরা ওপেনার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটাই কি তবে তার ভবিষ্যৎ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য কেবল তামিমের কাছেই রয়েছে। কিন্তু লোকমুখে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। তামিমের রয়েছে ভিন্ন পরিকল্পনা।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে যুক্ত তামিম ইকবাল। খেলোয়াড়ি জীবনকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করেননি। যদিও গেল বছর জুলাইয়ে তিনি অবসরের ঘষোণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তৎকালীন সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপে নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন তামিম। কিন্তু এরপরও মাঠের ক্রিকেটে নিয়মিত হননি তিনি।

জাতীয় দলের হয়ে একটি মাত্র সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন ওই ঘটনার পর। যদিও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের বিগত আসরে ছিলেন তিনি। গুঞ্জন রয়েছে খুব শীঘ্রই তিনি সত্যিকার অর্থেই খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি রেখা টেনে দেবেন। মূলত তার বাসনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হওয়া।

তবে খুব সহজেই তার সে ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না, রয়েছে নানা জটিলতা। খেলোয়াড় হিসেবে অবসর গ্রহণ করবার পরই কেবল তিনি পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হতে পারবেন। তবে বেশ কিছু সূত্র মতে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তামিম। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাকে দেখা যেতে পারে।

কিন্তু এরপরই মূলত পরিচালক হওয়ার পথটা সুগম করতে চান তামিম। সেজন্য অবশ্য চট্টগ্রামকেই বেছে নিয়েছেন খান পরিবারের ছোট ছেলে। আগামী বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিসিবির নির্বাচন। এর আগে অবশ্য তামিমের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বর্তমানে বিসিবির পরিচালক তামিমের চাচা আকরাম খান। তবে তামিম বিসিবি-তে আসতে চাইলে তাকে অবশ্যই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নির্বাচিত কাউন্সিলর হতে হবে। এর বিকল্প এই মুহূর্তে তার জন্য খোলা নেই। সেটা বেশ ভালভাবেই জানা তামিমের। তাই তো ইতোমধ্যে তিনি নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ক্রিকেট মহলে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিসিবি পরিচালক পদে সংযুক্তির মাধ্যমে তামিমের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তিনি নানা অপরিষ্কার অভিযোগ তুলে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। সেই অভিযোগগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক যেমন ছিল, তেমনই আঙ্গুল তুলেছিল প্রতিষ্ঠানের দিকেও। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্দশা ও অনিয়মের সমাধানই হয়ত তামিম করতে চাইবেন।

Share via
Copy link