একটা সময় ছিল, যখন ভারতকে বোলিং অপশন নিয়ে ভাবতে হতো না। শচীন টেন্ডুলকার পার্ট টাইমার হিসেবে নিয়মিত বল করতেন, যুবরাজ সিং তো পুরাদস্তুর অলরাউন্ডার ছিলেন। কিন্তু পরের যুগে একটা শূন্যতা তৈরি হয়, টপ অর্ডার বিরাট বা রোহিত কিংবা মিডল অর্ডারে রাহুল, শ্রেয়াস কেউই সেই অর্থে অধিনায়কের আস্থা হতে পারেননি।
যদিও এখন আবারো সুসময় ফিরতে যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টি দলে একগাদা তরুণ জায়গা পেয়েছেন যারা ব্যাট আর বল দু’টোই জানেন ঠিকঠাক। অভিষেক শর্মা, নিতিশ রেড্ডি তো পুরাদস্তুর ব্যাটার হিসেবেই সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু চাইলেই তাঁদেরকে দিয়ে চার ওভার বল করানো যায়।
এভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে একে একে সাতজন বোলারকে দিয়ে বল করিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব, সাতজনের প্রত্যেকে উইকেটও পেয়েছেন। অথচ এদের মধ্যে কেবল তিনজন বিশেষজ্ঞ বোলার, বাকিরা হয় অলরাউন্ডার না হলে মিনি অলরাউন্ডার।
ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী একটা ইনিংস খেলেছেন নিতিশ, এরপর নতুন বলেই আবার হাজির হয়েছেন। স্লোয়ার আর সিম মুভমেন্টে দারুণ বোলিংও করেছেন; সবমিলিয়ে চার ওভার বল করে মাহমুদউল্লাহ আর তানজিম সাকিবের উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া দুই ওভার করে হাত ঘুরিয়েছেন স্পিনার অভিষেক আর রিয়ান পরাগ। তাঁরাও নাম লিখিয়েছেন স্কোরবোর্ডে, যথাক্রমে তাওহীদ হৃদয় এবং মেহেদি হাসান মিরাজ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তাঁদের দুজনের ডেলিভারিতে। আরেক অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর এক ওভার বল করেই পেয়েছেন নাজমুল শান্তর উইকেট।
জেনুইন বোলারদের মধ্যে আর্শ্বদীপ সিং ও মায়াঙ্ক যাদবের ঝুলিতে গিয়েছে এক উইকেট। বরুণ চক্রবর্তী নিয়েছেন বাদ বাকি দুই উইকেট। সুরিয়া ইচ্ছে করেই ব্যবহার করেননি আরেক নিয়মিত অপশন হার্দিক পান্ডিয়াকে – সাতে সাতে, হাতে ছিল আরো এক! সব মিলিয়ে অলরাউন্ডারের মহোৎসব যেন।
একাদশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে অলরাউন্ডারের গুরুত্ব কতটা সেটা কাউকে বোঝাতে হয় না। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রুলসের কারণে অলরাউন্ডার সংকট ঘনীভূত হবে এমন শঙ্কা ছিল। তবে আইপিএল থেকে উঠে আসা নিতীশ, অভিষেকরা ভুল প্রমাণ করলেন সেটাকে।