অ্যান্টনি গ্রিজম্যান অবসর নিয়েছেন জাতীয় দল থেকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন জেগেছে কে হবেন গ্রিজম্যানের রিপ্লেসমেন্ট, কে গ্রিজম্যানের মত ‘নাম্বার টেন’ ভূমিকায় খেলবেন, কে গোল বানানোর কাজটা করবেন। আশ্চর্যই বটে, নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আকাঙ্ক্ষিত উত্তরটা পেয়ে গেলো ফ্রান্স – গ্রিজম্যানের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হলেন মাত্তেও গুয়েন্দোজি।
খুব বেশি সময় লাগেনি কিন্তু, এই মিডফিল্ডার মাঠে এসেছিলেন ৭৬ মিনিটের সময়। মিনিট বিশেক খেলতে পারবেন এটাই হয়তো তাঁর জন্য ছিল বিশেষ কিছু। প্রতীক্ষিত সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠলেন তিনি, সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন চোখের পলকে।
৮৭ মিনিটের সময় করেছিলেন গোল; ব্র্যাডলি বারকোলার কাছ থেকে বল পেয়ে থিও হার্নান্দেজ কাটব্যাক করেছিলেন গুয়েন্দেজির উদ্দেশ্যে; কি অনায়াসে সেটা গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে জালের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন তিনি – এমন ফিনিশিং বারবার দেখলেও বোধহয় ক্লান্তি আসবে না।
দুই মিনিট পরেই লাজিও তারকা ঋণ পরিশোধ করেন, বারকোলাকে দিয়ে করান দারুণ একটা গোল। এই নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারে ফ্রান্সের হয়ে দুই গোল আর দুই অ্যাসিস্ট করলেন তিনি – চারবার সেটা করেছেন বদলি হিসেবে নেমে। ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯২ মিনিটের সময় গোল দিয়েছিলেন এই ফুটবলার, আর আগে আইভরি কোস্টের বিপক্ষে একই সময়ে করেছিলেন অ্যাসিস্টও।
যদিও এদিন তিনি মাঠে আসার আগেই ফ্রান্সের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। সম্প্রতি ইনজুরি থেকে ফেরা এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা প্রথম প্রতিপক্ষের দূর্গে হানা দিয়েছিলেন। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তাঁর শট ফেরাতে গিয়ে বোকামি করে বসেছিলেন গোলরক্ষক অমরি গ্ল্যাজার। ২০২২ সালের মার্চের পর এটিই মাদ্রিদ তারকার পর প্রথম গোল।
এছাড়া ক্রিস্টফোর এনকুনকুর গোলেও অবদান আছে তাঁর; সবমিলিয়ে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে ফ্রান্স। এখন লক্ষ্য টেবিলে সবার উপরে উঠা।