এ শতাব্দির টেস্ট ক্রিকেটীয় পটের সবথেকে অপয়া সংখ্যা বোধহয় ৫৫৬। প্রথম ইনিংসে যেই ওতে থেমেছে । সেই ফাঁদে পড়েছে।
এবার রেকর্ডে ভরা মুলতান টেস্টের পিচ ছিল ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার করেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটাররা।
যাতে আবদুল্লাহ শাফিক, অধিনায়ক শান মাসুদ ও সালমান আঘা শতরানের দেখা পান। এদিকে সৌদ শাকিল করেন গুরুত্বপূর্ণ ৮২ টি রান। প্রথম ইনিংসে রান সাগরের কিনার পায় পাকিস্তান ৫৫৬ রানের মাথায়। তবে পাঁচ দিন শেষে ইনিংস পরাজয়ের স্বাদ গ্রহন করেন পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
এবার ঠিক বারোটা বছর পিছে যাই। মিরপুরে উইন্ডিজের করা ৫২৭ রানের বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে শতরানের দেখা পান নাইম ইসালাম।
সাথে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান করেন ৮৯ রান। তরুণ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন করেন ৯৬ রান। শেষে মাহমুদুল্লাহর ৬২ রান সহ বাংলাদেশ ইনিংস থামে ৫৫৬ রানে। সেই টেস্ট ৭৭ রানে হেরে যায় টাইগাররা।
এবার আরও একটু পিছে যাই দশকের শুরুর দিকে। সময়টা ২০০৩ সাল। এডেলেইডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ইনিংসে কিংবদন্তি রিকি পন্টিং অনবদ্য ২৪২ রান করেন। যার পিঠে চড়ে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস শেষ হয় সেই ৫৫৬ এ।
জবাবে ভারত দ্রাবিড়ের ২৩৩ এর পিঠে পৌঁছে ৫২৩ রানে। সেই টেস্টও শেষে ভারত জেতে। ৪ উইকেটে।
আদতেই ৫৫৬ এক অপয়া সংখ্যা। শতাব্দিতে প্রথম ইনিংসে যেই এর দেখা পেয়েছেন। তার প্রতিপক্ষেরই কেল্লা ফতে। জয় তার দোরগোড়ায় এসে হামলে পড়বে।