ম্যাচের সময় তখনও দুই মিনিট হয়নি; অথচ অভিষিক্ত জেমি লেভেলিং ছুঁয়ে ফেললেন তাঁর স্বপ্ন। কি জানি, হয়তো স্বপ্নের চেয়ে বেশি কিছুই ছিল, জার্মানির জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নেমেই দুই মিনিটের মাথায় করে ফেললেন গোল। পুরো অ্যালেঞ্জ এরেনাকে সাথে নিয়ে সে সময় উদযাপন করতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম, বেরসিক ভার নূন্যতম ব্যবধানে অফ সাইডের সিদ্ধান্ত জানালে বাদ হয়ে যায় গোল।
তেইশ বছর বয়সী এই উইঙ্গার তাতে দমে যাননি, উল্টো আরো বেশি ক্ষীপ্র আর তীক্ষ্ণ হয় ওঠেন। একের পর এক আক্রমণ চালান নেদারল্যান্ডসের রক্ষণভাগে। টিম ক্লেইনডিয়েন্সটের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া ছিল দেখার মত, দু’জনের দারুণ সমন্বয়ে প্রথমার্ধে একাধিকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল জার্মানি।
গোল করেছেন, বাতিল হয়েছে; হতাশ না হয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে মাঠে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন – লেভেলিংকে তাই প্রতিদান দিতেই হত ফুটবল বিধাতার। দিয়েছেনও তিনি, ৬৪ মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ক্লেইনডিয়েন্সটের হেডার সতীর্থ স্কলটারবেগের গায়ে লেগে চলে তাঁর দিকে। ডান পায়ের জোরালো শটে সেটা গোলে রূপ দিতে একটুও কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে।
এই স্টুটগার্ট তারকা আসলেই গোল প্রাপ্য ছিলেন; সব মিলিয়ে ৮৭ মিনিট খেলেছেন তিনি। এসময় একটা গোল করা ছাড়াও তিন তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন, চারটা ডুয়েল জিতেছেন, চার বার বল রিকোভার করেছেন।
অবশ্য জার্মানি দলটাই এদিন দাপট দেখিয়েছেন, ঘরের মাঠে ডাচদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তাঁরা। ১-০ স্কোর লাইন ঠিকঠাক ম্যাচের গল্পটা বলতে পারছে না, স্বাগতিকদের চেয়ে বেশি পাস খেলেছে রায়ান গ্রাভেনবার্চরা। অথচ গোলমুখে শট নেয়ার ক্ষেত্রে তাঁরাই যোজন যোজন পিছিয়ে। ‘এক্সপেক্টেড গোল’ কিছুটা ধারণা দিতে পারে, জার্মানির ×০.৯১ এর বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের জন্য সংখ্যাটা স্রেফ ×০.১৩!
আগের দেখায় কমলা জার্সিধারীদের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছিল জসুয়া কিমিখের দল। এবার আর সেই ভুল করেনি, পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়ে হেসেছে শেষ হাসি। এর মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থান আরো সুসংহত হলো তাঁদের।