এক তারকায় ঠাসা দল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই তারকার ছড়াছড়িই গ্যালাকটিকোস শিবিরের সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সবচেয়ে বড় নাম ফরামি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রি ট্রান্সফারে মাদ্রিদের বেশ ভালই হলো। ওদিকে এমবাপ্পেও তুলনামূলক কঠিন লিগে নিজেকে মেলে ধরবার সুযোগ পেলেন।
তবে, এখান থেকে সব বিপত্তির শুরু হল। অভিষেকের আগেই দলে এক অদৃশ্য সমস্যার দেখা পেলেন বর্ষীয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। দলের মাঝ মাঠে জুড বেলিংহ্যাম আর আক্রমণ ভাগে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগোর সাথে সাথে এমবাপ্পে।
এতজন আক্রমণ ভাগের তারকা ভিড়েই বিপাকে পড়েন আনচেলত্তি। কঠিন হয়ে ওঠে তাদের মাঝে সঠিক সমন্বয় নির্মাণ।
এর খেসারতও দিতে হয়েছে মাদ্রিদিস্তাদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৬ ম্যাচ পর পরাজয়ের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল দল লিল।
তবে অভিজ্ঞতার জোরে এবারও সামলে নিয়েছেন আনচেলত্তি। লা লিগাতে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হ্যান্সি ফ্লিকের এফসি বার্সেলোনার ঠিক পরপরই অবস্থান করছে।
তবে তারকামোড়া দলের সবথেকে বড় বিপত্তি বড় ম্যাচ খেলার সময়ে। যার অন্যতম কারন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের বিদায়।
রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে ক্রুস ছিল সেতুর মতো। যা আক্রমণ ও মাঝ মাঠের একনিষ্ঠ যোগাযোগ মাধ্যম ছিল।
ক্রুসের অবসর সেই যোগাযোগে ধরিয়েছে চির। সাবেক তারকা গুতিয়ারেজ এ নিয়ে বলেন, ‘এখন মাদ্রিদের খেলা অনুমান করা যায়। তারা ধীর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে সঠিক পাস বের করা বেশ কঠিন।’
তাছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদের আরও এক সমস্যা হলো তাদের রক্ষণে। সম্প্রতি যেখানে রাইট ব্যাক দানি কারভাহাল পড়েছেন ইনজুরিতে। যার তোপে পুরো মৌসুম মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। সাথে আক্রমণেও সপ্তাহ খানেকের জন্য ছিটকে পড়েছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
অসম্ভবকে সম্ভব করতে জানে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এবার সংকটটা বেশ নতুন। ফলে সামনের ট্রফি নির্ধারকরূপী এল ক্লাসিকো সহ বড় খেলা গুলোতে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন কিনা তা সময়দেবই বলে দেবেন। তবে এবার সংকটের কালো মেঘ ছাপিয়ে ফিরে এলে তা আদতেই কাব্যিক প্রত্যাবর্তন হবে।