বিরাট কোহলি ফিনিশড! – এই ভেবে কেউ দু:খ পেতে পারেন, কেউ আনন্দ পেতে পারেন। এদের দু’পক্ষকে যথাক্রমে আশা ও হতাশার খোঁজ দিয়ে জানাই – বিরাট কোহলি ইজ নট ফিনিশড ইয়েট!
এইতো সেদিন, কিউইদের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের কথা। পুনেতে ব্ল্যাকক্যাপসদের বাঁ-হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের ফুলটস বলে স্যুইপ শট মারতে গিয়ে কোহলি বোল্ড আউট হলেন। যেভাবে আউট হলেন তাতেই একাংশের মনে উপরের ভাবনাটা এসে হাজির হয়েছে – কোহলি কি ফুরিয়ে গেছেন? বা ফুরিয়ে যাচ্ছেন?
কোহলিসুলভ ধারাবাহিকতা থেকে চ্যুত হওয়া বিরাট পেসটা যতটা ভালো খেলেন স্পিনটা ততটা ভালো খেলেন না। বিশেষ করে স্পিন সহায়ক উইকেটে অত্যন্ত কার্যকরী সুইপ শট খেলতে তিনি খুব একটা পারদর্শী নন। বাঁ-হাতি স্পিনের বিপক্ষে তাঁর দুর্বলতা রীতিমত প্রকাশ্য দিবালোকের মতই সত্য।
আর, এর আগে একাধিকবার স্যান্টনারের বলে আউট হয়েছেন বিরাট। এবার মনে একটা অতিরিক্ত ভাবনা নিশ্চয়ই স্থান পেয়েছিল স্যান্টনারকে মোকাবেলা করতে গিয়ে। অর্থাৎ, স্যান্টনারকে কিভাবে খেললে একটা উচিৎ জবাব দেওয়া যাবে। খুব সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে তিনি একটি অস্ত্রকে ড্রেসিংরুমে বসে থাকাকালীনই বেছে নিয়েছিলেন – স্যুইপ শট।
বাঁ-হাতি স্পিনারের মোক্ষম ডেলিভারিকে ক্ষমতাহীন করতে স্যুইপ এক মোক্ষম অস্ত্র। তবে, এর জন্য বলের ও বোলারের মেরিট বোঝা জরুরী। বিরাট সম্ভবত বলের মেরিট উপেক্ষা করে গিয়েছেন। টেস্টের সফেদ প্রান্তরেও বিরাট তাই উপেক্ষিত হওয়ার দুয়ারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরেকবার।
আগামীতে এটা হবে আবার, কিংবা হবে না। আগামীতে হলেই রব উঠতে পারে – কোহলি ইজ ফিনিশড। সেই রব ওঠার পথটা কেবল কোহলি নিজেই বন্ধ করতে পারেন।
কোহলি অবশ্যই জাত ব্যাটার। সেটা এতটাই যে, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফর তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে এটাও সত্য যে – নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। কোহলি হাঁটবেন কোন পথে – প্রস্থান না প্রত্যাবর্তন! শেষ বেলায় একটা পরিবর্তনের পথে হাঁটবেন কি? দ্বীপ নিভে যাওয়ার আগে শেষবারের মত একবার জ্বলে উঠবেন কি?