আবার হবে ছাদ খোলা বাসে বিজয় প্যারেড

দেশে ছাদখোলা বাস ছিল না। থাকবে কেন, আগে তো কখনও এমন উপলক্ষ আসে না। কিন্তু উদযাপন থেমে যায়নি, দ্বিতল বাসের ছাদ কেটেই নারী দলের জন্য বাসের ব্যবস্থা করছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ঘরে ফেরাকে উৎসবমুখর করতে চেষ্টার কমতি রাখেনি কেউ।

শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যাশা, প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারি ভর্তি হাজার হাজার দর্শকের গর্জন – সবমিলিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন চাপ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের ওপর। কিন্তু তাতে কি, সব চাপ উড়ে গেলো বাঘিনীদের দাপটে। আরও একবার দশরথের গ্যালারি চুপ হয়ে গেলো, ইতিহাস তৈরি হলো আরো একবার।

২০২২ সালে পুরো দেশকে চমকে দিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ মহিলা দল। ছাদখোলা বাসে সেবার তাঁদের বরণ করে নিয়েছিল পুরো দেশ, ডাবল ডেকার বাসের ছাদে বসে সাবিনারা দেখেছিলেন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।

দেশে ছাদখোলা বাস ছিল না। থাকবে কেন, আগে তো কখনও এমন উপলক্ষ আসে না। কিন্তু উদযাপন থেমে যায়নি, দ্বিতল বাসের ছাদ কেটেই নারী দলের জন্য বাসের ব্যবস্থা করছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ঘরে ফেরাকে উৎসবমুখর করতে চেষ্টার কমতি রাখেনি কেউ।

দুই বছর পর সেই একই স্টেডিয়াম, সেই দশরথে একই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে বিজয়ের মুকুট পরলো বাংলাদেশ। মনিকা চাকমা আর ঋতুপর্ণা চাকমার গোলে ট্রফি ধরে রাখার মিশন সফল হলো। তাহলে আরও একবার কি ছাদখোলা বাসে প্যারেড হওয়া উচিত নয়?

উচিত তো বটেই, প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং ক্রীড়া পরিষদ। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক শিরোপা যেখানে বিরল ঘটনা, সেখানে শিরোপা ধরে রাখার কীর্তি তো অপ্রত্যাশিত। বড় সড় উৎসব তাই কাম্য!

তবে উদযাপনের পাশাপাশি অধিকারের ব্যাপারেও সচেতন হওয়া উচিত। এবার অন্তত মেয়েদের বকেয়া বেতন, ম্যাচ ফির টাকা ঠিকঠাক পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হোক। পারফরম্যান্স আর সাফল্য অনুযায়ী যতটুকু সুবিধা প্রাপ্য, তার ততটুকু অবশ্যই দেয়া উচিত – না হলে সব উদযাপন, সব উল্লাস ফিকে হয়ে যাবে।

Share via
Copy link