নবী, দ্য সেইলরম্যান!

১০২ মিটারের বিশাল এক ছক্কা! শারজাহ স্টেডিয়ামের ছাদ পেরিয়ে বল গিয়ে পড়েছে একদম রাস্তায়। বোলার বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। ২৭ তম ওভারে দ্বিতীয় বলটি ফুল লেংথে পড়লে লং অন দিয়ে বিশাল এই ছক্কা হাঁকানোর নায়ক মোহাম্মদ নবী।

১০২ মিটারের বিশাল এক ছক্কা! শারজাহ স্টেডিয়ামের ছাদ পেরিয়ে বল গিয়ে পড়েছে একদম রাস্তায়। বোলার বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। ২৭তম ওভারে দ্বিতীয় বলটি ফুল লেংথে পড়লে লং অন দিয়ে বিশাল এই ছক্কা হাঁকানোর নায়ক মোহাম্মদ নবী।

কে বলবে এই লোকটার বয়স প্রায় ৪০! যার বলে ছক্কা হাঁকালেন সেই রিশাদ হোসেন আক্ষরিক অর্থেই তাঁর হাঁটুর বয়সী। এই বয়সেও আফগানদের নাবিক এই নবী। আফগান ক্রিকেটের একদম গোড়া থেকে আজ অবধি তিনি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন, হোক সেটা অ্যাসোসিয়েটদের আইসিসি ট্রফির ম্যাচ, কিংবা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।

নাবিক নবী আরও একবার হাল ধরলেন আফগানিস্তানের। ২০তম ওভারে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে তিনি টেনে তোলেন দলকে। সঙ্গ দেন হাশমতউল্লাহ শাহীদি।কিন্তু এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি রানের জুটিতে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন নবী ও হাশমতউল্লাহ জুটি। আফগানদের ইনিংসের প্রায় শেষ অবধি নবী ছিলেন ক্রিজে।

৭৯ বলে তিনি সংগ্রহ করেন ৮৪ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম এবং শারজায় এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি। সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের চাহিদাকেই ওই সময় প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। লড়াই করার এই মানসিকতাতেই তো অনন্য নবী।

একেবারেই নির্ভুল ব্যাটিং করেছেন নবী, সেটা অবশ্য বলা যায় না। তিনি সুযোগ দিয়েছিলেন। হাফ-সেঞ্চুরি করার পরের বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন নবী। বল অনেকক্ষণ বাতাসে ভাসলেও লং অফ থেকে দৌড়ে গিয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ক্যাচ নিতে তিনি বলের ফ্লাইট বুঝতে পেরেছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে পারে! বুঝতে পারলেও দৌঁড়ে অতদূর আসার সামর্থ্য তাঁর নেই। ৪০ বছর বয়সে গিয়ে নবীর মত সামর্থ্য দেখানো সবার কম্মো নয়।

 

Share via
Copy link