বস্তি থেকে উঠে এসে ভারতের নবাগত রবিচন্দ্রন অশ্বিন

হিমাংশুর সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর বলের বাউন্স। লম্বা হওয়ার কারণে এই বাড়তি সুবিধা পান। ফলে, তাঁর বলের ফ্লাইটে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করা সহজ হয়।

নেটে বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মাকেও যিনি সমস্যায় ফেলেছেন, তাঁকে নিয়ে তো আলাদা একটু আলোচনা চলতেই পারে। তেমনি আলোচনার রসদ যুগিয়ে যাচ্ছেন হিমাংশু সিং। বস্তি থেকে উঠে এসে তিনি পৌঁছে গেছেন মুম্বাইয়ের রঞ্জি দলে। জাতীয় দলে কড়া নাড়ছেন, নেটে তাঁর বিপক্ষে ভুগছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটাররা।

বলা হচ্ছে, হিমাংশু হলেন ভারতের ভবিষ্যতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়ে শৈশবে পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। বাধ্য হয়ে থাকেন বস্তিতে। মুম্বাইয়ের হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন হিমাংশু। ২০২৪ সালে সুযোগ পেয়েছেন রঞ্জি দলে। ২১ বছর বয়সী হিমাংশুর বোলিং অ্যাকশনও অনেকটা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মত।

দু’জনই অফ স্পিনার। তবে, কিংবদন্তি অশ্বিনের চেয়ে উচ্চতা ২ ইঞ্চি বেশি হিমাংশুর। ছয় ফুট চার ইঞ্চির এই স্পিনার বলের পাশাপাশি ব্যাটটাও ভাল করেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি শুরু করেছিলেন ব্যাটার হিসেবেই। কিন্তু, অলরাউন্ডারের সুযোগ বেশি থাকায় বলটাও শুরু করেন। ধীরে ধীরে অফ স্পিনার হিসেবেই পরিচিতি পান হিমাংশু।

হিমাংশুর সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁর বলের বাউন্স। লম্বা হওয়ার কারণে এই বাড়তি সুবিধা পান। ফলে, তাঁর বলের ফ্লাইটে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করা সহজ হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শিবিরেও নেট বোলার হিসেবে খেলেছেন তিনি।

বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বেশ আগ্রহী এই তরুণ স্পিনারের ব্যাপারে। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের আগে তিনি ভারতীয় দলের ক্যাম্পেও ছিলেন। হিমাংশুর লক্ষ্যও, ভারতের জার্সি। আপাতত সেই লক্ষ্যেই তাঁর যত পরিশ্রম। ভারতও নিশ্চয়ই তাঁদের নতুন অশ্বিনের পরিচর্যা ও পূর্ণতায় চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না।

Share via
Copy link