এসি এল ইনজুরি ফুটবল খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারে এক ধরনের অশনি সংকেত, যা অনেক প্রখর প্রতিভাবান তারকাকে চিরকালীন ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। এসব ইনজুরির কারণে অনেকের স্বর্ণযুগের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তারা আর কখনো তাদের সেরা অবস্থায় ফিরতে পারেননি।
এই গল্পে আমরা জানবো কিছু বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়দের সম্পর্কে, যারা এসি এল ইনজুরির কারণে তাদের ক্যারিয়ারকে অকালেই বিদায় জানিয়েছেন অথবা তাদের পুরনো ফর্ম ফিরে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই এসিএল ইনজুরিতে পরে এমন অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা তাদের এসি এল ইনজুরির কারণে তাদের ক্যারিয়ার ধ্বংস হতে দেখেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন প্রখর প্রতিভাবান।
- মার্কো ভ্যান বাস্তেন (নেদারল্যান্ডস)
তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু হাঁটুর একাধিক চোট এবং এসিএল ইনজুরি তার ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করে দেয়। একাধিক অস্ত্রোপচারের পর মাত্র ২৮ বছর বয়সে তাকে অবসর নিতে বাধ্য হতে হয়।
- রোনালদো নাজারিও (ব্রাজিল)
ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি একাধিকবার হাঁটুতে এসিএল চোট পান, যা তার ক্যারিয়ারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করে। যদিও তিনি ফিরে এসেছিলেন এবং অসাধারণ খেলেন, তার পুরনো ফর্ম পুরোপুরি ফিরে পাননি।
- জুসেপে রসি (আমেরিকা)
প্রমিজিং স্ট্রাইকার হিসেবে ভিলারিয়াল এবং ফিওরেন্টিনায় খেলা রসি দুই হাঁটুতে একাধিক এসি এল ইনজুরির শিকার হন। বারবার চোট থেকে ফিরে আসলেও ইনজুরি তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে দেয়নি।
- রাদামেল ফ্যালকাও(কলম্বিয়া)
তার গোল স্কোরিং ক্ষমতার জন্য পরিচিত ফ্যালকাও মোনাকোর হয়ে খেলার সময় এসি এল ইনজুরিতে পড়েন, যা তাকে ২০১৪ বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেয়নি। ইনজুরির পর মাঠে ফিরলেও তার পুরনো ফর্মে আর পুরোপুরি ফিরে আসেননি।
- জে-জে ওকোচা (নাইজেরিয়া)
যদিও তার এসিএল ইনজুরি ছিল না, নাইজেরিয়ান এই তারকার হাঁটুর সমস্যার কারণে তার অ্যাজিলিটি ও গতি কমে যায়, যা তার খেলার স্টাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
- নেইমার জুনিয়র (ব্রাজিল)
তিনি ফুটবল জগতে এক প্রতিভাবান ফুটবলার বলাই বাহুল্য। তিনি ছিলেন খুবই সম্ভাবনাময় একজন খেলোয়াড়। কিন্তু তাঁর কারিয়ারে অসংখ্য ইনজুরি তাকে তার সম্ভাবনায় পৌঁছাতে দেয়নি। তার মধ্যে অন্যতম, এসিএল। এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর নেইমার ফিরতে পারেনি তাঁর আগের গতিতে।